শুরুর দিকে সিঙ্গাপুরকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আদর্শ মনে করা হলেও ধীরে ধীরে যেন ম্লান হতে চলেছে সেই সাফল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৭২৮ জন, যা এর আগের একদিনে সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ডের প্রায় দ্বিগুণ।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীদের প্রায় ৯০ শতাংশই অভিবাসী ডরমিটরি সম্পর্কিত। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ধরনের রোগী শনাক্ত হয়েছেন অন্তত ৬৫৪ জন।
গত বুধবার একদিনে সর্বোচ্চ ৪৪৭ জন রোগী শনাক্তের রেকর্ড গড়েছিল সিঙ্গাপুর। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা থেকেও বহুদূর এগিয়ে গেছে তারা। দেশটিতে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪২৭ জন।
এদিন নতুন করে আর কেউ মারা যাননি। ফলে সেখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ জনই রয়েছে।
প্রায় ৬০ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট নগররাষ্ট্রটিতে শ্রমশক্তির এক-তৃতীয়াংশই অভিবাসী। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ এশীয় দেশগুলোর কর্মীরা নিবন্ধিত ৪৩টি ডরমিটরিতে বসবাস করেন। সেখানে একেকটি রুমে গাদাগাদি করে থাকেন প্রায় ২০ জন করে। তাদের সবাই একই বাথরুম ও রান্নাঘর ব্যবহার করেন। এক কথায়, এ ধরনের জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। এ কারণে সেসব জায়গায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও অত্যন্ত বেশি।
ইতোমধ্যেই সিঙ্গাপুরের নয়টি বেসরকারি ডরমিটরিতে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আর এর জন্য কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নেয়াকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটিতে করোনা আক্রান্তদের প্রায় এক-চতুর্থাংশই এসব ডরমিটরির সঙ্গে সম্পর্কিত।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই