বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আ ন ম ফয়জুল হককে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। রবিবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপসচিব এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা গেছে।
একইদিনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আরেক উপসচিব শাহীন আরা বেগম স্বাক্ষরিত অপর এক প্রজ্ঞাপনে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ আজিজুর রহমানকে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি করা হয়।
জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিবের দায়িত্বে থাকা আ ন ম ফয়জুল হক বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন।
চাকরি জীবনে এটাই ছিল তার প্রথম জেলা। এত অল্প সময়ে বাগেরহাটের কোনো জেলা প্রশাসকের বদলির ঘটনা এটাই প্রথম।
এদিকে, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ফয়জুল হককে বদলি করার খবর স্থানীয় নানা শ্রেণিপেশার মানুষকে হতবাক ও বিস্মিত করেছে।
রোববার রাত থেকে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের হঠাৎ বদলির বিষয়ে সরব লেখালেখি শুরু করেছেন। সোমবারও জেলা প্রশাসককে বদলির আদেশ প্রত্যাহার করে পুনর্বহালের দাবি করে স্ট্যাটাস দেন অনেকেই।
বাগেরহাট খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক হায়দার আলী বাবু তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ফয়জুল হকের বদলি বাগেরহাটবাসীর জন্য দু:সংবাদ। তিনি ছাড়াও অনেক শিক্ষক তার বদলির আদেশের ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, সরকারি চাকরি তো এমনই। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সরকার চাইলে যখন-তখন বদলি করতে পারেন। আমি গত ৩ জানুয়ারি বাগেরহাটে যোগদান করি। আমার এই কর্মস্থলের বয়স সাড়ে চার মাসের মত। আমি আমার সাধ্যমতো দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। দায়িত্ব পালনের সময়ে আমার আচরণে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাকে সরকার যেখানে বদলি করবে আমি সেখানে যেতে বাধ্য।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন