সাভারের আশুলিয়ায় সাত বছরের এক শিশুকে শিকল ও পায়ে তালা লাগিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সৎ মা ও বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শিশু নির্যাতনের অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী টেংগুরি এলাকার রিন্টু মিয়ার শ্রমিক কলোনিতে।
এলাকাবাসী বলছে, গত কয়েক মাস ধরে ভাড়া ঘরের একটি রুমে শিশু মানিককে অমানবিকভাবে পায়ে শিকল ও তালা লাগিয়ে নির্যাতন করে আসছে তার সৎ মা ও বাবা। এসময় নির্যাতনের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে প্রাণে বাঁচতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু শিশুটিকে নির্যাতনের ঘটনা জানতে পারে প্রতিবেশীরা। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি দেখতে পায়।
এসময় শিশুটি জানায়, আমার বাবা ও সৎ মা আমাকে সবসময় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে, আমাকে ঝুলিয়ে মাথা নিচের দিকে দিয়ে বাঁশ ও ঝাড়ু দিয়ে পিটায়। রেগে গলা চেপে ধরে। আমি কান্নাকাটি করলে লোহার শিকল দিয়ে তালা দিয়ে আমার হাত ও পা বাঁধে। তারপর সৎ মা-বাবা ও বোন মিলে মারধর করে।
শিশুটি আরও জানায়, কান্নাকাটি করলে তারা আমাকে হত্যার ভয় দেখায়। এসময় নির্যাতিত শিশুটিকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শিশুটি।
এদিকে, শিশুটিকে শিকল দিয়ে বেধে রাখায় এলাকাবাসী তার সৎ মা ও বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা ও সৎ মা কথা বলতে রাজী হয়নি।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, আমি শিশু নির্যাতনের বিষয়টি শুনে ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিচ্ছি। যাতে করে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
নির্যাতিত শিশুটি বরিশাল জেলার মঠবাড়িয়া থানার পাতা কাটা গ্রামের হানিফের ছেলে। তার বাবা রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।
ভিন্নবার্তা/এসআর