ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের মুক্তির দাবি ও একমুঠো ভাতের দাবিতে কাকরাইলে তার অফিসের সামনে আজ সন্ধ্যার পর হঠাৎ শত শত গরীব, দুঃখী ও অসহায় মানুষের ভিড়। এসময় তারা সম্রাটের মুক্তির দাবি জানান। তারা বলেন, কয়েক বছর আমরা সম্রাটের অফিসের সামনে সন্ধ্যার পর রাতের খাবার খেয়েছি।
আজ প্রায় এক বছর হতে চলল, আমরা সে খাবার খেতে পারি না। সম্রাট গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আমাদের কেউ খোজ নেয় না। তাই আমাদের পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য হলেও সম্রাটের মুক্তি চাই। এসময় দিন মজুর জসিম, রিক্সা চালক জালাল মিয়া, অসহায় নারী ছখিনা বিবি, রিক্সা চালক আকবর মিয়া, প্রতিবন্ধী সবুর আলী ও হামিদা বানু বলেন, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট আমাদের খাবার দিতেন। বিভিন্ন সময়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতেন।
দীর্ঘদিন সে না থাকায় আমরা অসহায় মানুষগুলো অনাহারে থাকলেও কেউ খবর নেয় না। করোনার এই কান্তিকালে আমরা অনাহারে অর্ধহারে দিনাতিপাত করছি। অবিলম্বে সম্রাটের দিন চাই।
হঠাত এত মানুষের ভিড় কেন জানতে চাইলে রংপুরের গঙ্গাচড়ার রিক্সা চালক সালাম মিয়া বলেন, আমি প্রায় দেড় বছর নিয়মিত সম্রাট ভাইয়ের অফিসের নীচে খাবার খেতাম।
এখানে যে খাবার বিনামূল্যে খেতাম সে খাবার হোটেলে খেতে লাগত দুইশত থেকে আড়াইশ টাকা। দীর্ঘদিন আমরা খাবার পাই না। মাঝে মাঝেই আসি। আজও সেগুন বাগিচায় যাত্রী নামিয়ে রামপুরা গ্যারেজের দিকে যাচ্ছিলাম, দেখি সম্রাট ভাইয়ের অফিসের সামনে লোকের ভিড়। পরে কথা বলে বুঝতে পারলাম সবারই পেটের ক্ষুদা নিবারণের জন্য অন্যদিনের মতো এখানে ভিড় জমিয়েছেন। কিন্তু কোন আয়োজন নেই। কারণ সম্রাট ভাই জেলে। আমরা তার মুক্তি চাই।