লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের হাতে আরও ১৯ বাংলাদেশি আটক থাকার খবর জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বুধবার তিনি বলেন, সেখানে নির্মমভাবে মানব পাচারকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনার দেশটির অন্যতম হোতা নিহত হয়েছে বলে লিবিয়ার গণমাধ্যমে জেনেছি। তবে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, লিবিয়ায় আরও ১৯ জন বাংলাদেশি অন্য একটি মাজরাতে আটক রয়েছেন। মুক্তিপণের জন্য তাদের ওপরও নির্মম অত্যাচার চলছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাবস্থা চলা এ দেশটি এখন মানব পাচারের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। হয়তো আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে আটক রয়েছেন। তবে আমরা এ ১৯ জনের কথা জানতে পেরেছি।
ড. মোমেন বলেন, সেখানকার একজন বাংলাদেশি আমাদের দূতাবাসকে জানিয়েছে, ত্রিপলী থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে একটি মাজরাতে এ ১৯ বাংলাদেশিকে মানবপাচারকারীরা মুক্তিপণের জন্য আটকে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয় পাচারকারীরা আটক বাংলাদেশিদের পরিবারের সঙ্গে টাকার জন্য দেন দরবার করছে। এসব পরিবারের উচিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। তা না হলে কারা তাদের কাছে টাকা চাইছে কারা এসব মানবপাচারে জড়িত সেসব কিছুই আমরা জানতে পারব না।
এসব বাংলাদেশির পরিবারকে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের সঙ্গে পাচারকারীদের যেসব দালাল যোগাযোগ করছে তাদের বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিন।
মন্ত্রী বলেন, এর আগে যে ৩৮ জন আটক ছিল তাদের পরিবারের কাছেও সেখানকার মানবপাচারকারীদের দালালরা ফোন করে মুক্তিপণ আদায় করত। তারা যদি সেসব বিষয় জানাতো তাহলে অকালে এত প্রাণ যেত না।
এ বিষয়ে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, এখন মানবপাচারের সিজন চলছে। করোনা-পূর্ব সময়ে যারা দেশে এসেছিলেন তারা এখন সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এই সংখ্যা কতো তা জানা কঠিন। আবার আটক বাংলাদেশিদের উদ্ধার করার পরিস্থিতিও নেই।
তিনি বলেন, এখানে বাংলাদেশি দালাল রয়েছে। এসব দালালদের তালিকা সরকারের কাছে রয়েছে। আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর উচিত হবে এই তালিকা ধরে তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক করা। অন্যথায় লিবিয়া পাচার হয়ে আসা আরও বহু বাংলাদেশির লাশ দেখতে হতে পারে।
লাইটনিউজ/এসআই