রৌমারীতে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ধনারচর, ফইজদারী ও দাঁতভাঙ্গা বেড়ীবাঁধের পশ্চিমাংশ পানিতে একাকার হয়ে গেছে। জেলা থেকে ১৫টি নদ-নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী রাজিবপুর। এ অঞ্চরটি ব্রক্ষ্মপুত্র নদ ও ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় বর্ষা-মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ী ঢল ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়ে অতি সহজে উপজেলা ২টি প্লাবিত হয়।
ব্রহ্মপুত্রের পুর্বপারে নদ-নদীর কবল থেকে রক্ষার শক্তিশালী শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায়, প্রতি বছর বর্ষার পানিতে এখানকার মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বানের পানি বৃদ্ধির ফলে বাঁধের পশ্চিম পার্শ্বের পাট, তিল, কাউন, আষাড়ী বাদামসহ অসংখ্য ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির প্রচণ্ড বেগ আচরে পড়ছে নদের পুর্বপারে অরক্ষিত বাঁধের উপর। প্রতিদিন পানি বেড়েই চলছে।
ফলে আতংক বিরাজ করছে বাঁধের পশ্চিম পাশের প্রায় ২ লাখ মানুষের মাঝে। উপজেলার দক্ষিণাংশে ধনারচর বেড়ীবাঁধটির চাকতা বাড়ী ও কর্তিমারী ঘাটে ভাঙ্গা অংশটি মেরামত না করায় ওই অঞ্চলটি ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এবং পানির চাপে বাঁধটি কোথাও ছিড়ে গেলে গত বছরের ন্যায় মানুষকে গরু, ছাগল, হাস, মুরগী ও আসবাবপত্র নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/প্রতিনিধি/এসএস