রৌমারীতে অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রবিশস্য চাষে চরম বেকায়দায় পড়েছে কৃষক। এবছরের দফায় দফায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে রবিশস্য উৎপাদনে ফসলী জমি চাষাবাদে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শতশত একর ফসলী জমিতে পানি ও শেতশেতে কাদা যুক্ত থাকায় হালচাষ করা সম্ভব হচ্ছেনা। অতি বন্যার ফলে রোপ আমন ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষক রবিশস্য হিসেবে, সরিষা, গম, ভূটা চাষে ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই উচু জমির পানি সরে যাওয়ার সাথে সাথে জমিতে হালচাষ শুরু করে।
কিন্ত বিধি বাম, প্রবাদ আছে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। হটাৎ করে কার্তিকের কয়েকদিনের টানা বর্ষণে জমি গুলো বীজ রোপনে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া চৎলার বিল, মাদাই ডাঙ্গার বিল,মিঠাই খাওয়ার বিল, বৈঠা হারার বিল, মোশারঘোপ বিল, নিলের কুঠির বিলসহ শতাধিক ডোবানালায় জলাবদ্ধতা চরম সংকটে ফেলেছ্ েএসব বিলের পানি নিস্কাসনে নেই সরকারী কোন ব্যাবস্থা। একদিকে বন্যার কারণে রোপা আমন চাষ স¤ভব হয়নি, রবি মৌসুমে রবিশস্য চাষ ব্যাহত হলে কৃষক চরম খাদ্য সংকটের আশংকা করছে।
এব্যারে আলগার চরের হায়দার আলী, রব্বানী, সামছুল, খেয়ারচরের জিয়া, আকতার, জানান, আমাদের এঅ লটি ভারতীয় সীমান্তঘেষা নিচু এলাকা। এখানকার মানুষের প্রধান পেষা কৃষি। দফায় দফায় বন্যার কারণে রোপা আমন নষ্ট হয়ে যায়। সময়মত রবিশস্য চাষ করতে না পারলে কৃষকের চরম দূর্দশা দেখা দিবে। এনিয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহারিয়ার হোসেন বলেন, আমি রৌমারী’র বিভিন্ন কৃষি অ ল সরেজমিন ঘুরে দেখেছি। অসংখ্য ডোবা নালা রয়েছে যেখানে কৃষি জমি গুলো জলাবদ্ধতার কারণে নিদিষ্ঠ সময়ে কৃষক ফসল ফলাতে পারেনা। এসব জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা মাসিক সভায় উত্থাপন করা হবে।
এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, রৌমারী নদী বিধৌত সীমান্তবর্তি অ ল। এখানকার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। আমি কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে গোটা উপজেলার বিভিন্ন অ ল ঘুরে দেখেছি। এখানে অসংখ্য বিল, ডোবানালা, রয়েছে। এসব ডোবা নালায় জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকের চাষাবাদ বিঘœ ঘটে। এবিষয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান।
ভিন্নবার্তা/এসআর