রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় শিক্ষক ও ব্যাংকারসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
শুক্রবার (৩ জুলাই) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মাহাবুবে খোদা ও মহানগরের শাহ মখদুম থানার বড় বনগ্রাম এলাকার অধিবাসী সেলিম মৃধা।
এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) প্রিন্সিপাল অফিসার মহানগরের মহিষবাথান এলাকার এখলাসুর রহমান (৪০) এবং মহানগরের বোয়ালিয়া থানার রামচন্দ্রপুর এলাকার আশরাফ আলীর স্ত্রী শামীমা বেগম (৪৮) এবং এবং তেরোখাদিয়া এলাকার মেরাজুল ইসলাম (৪০)।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামীমা বেগম জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে হাসপাতালের ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার মরদেহ থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান শাহ মখদুম এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মৃধা। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যান রাকাবের প্রিন্সিপাল অফিসার এখলাসুর রহমান। তিনি উপসর্গ নিয়ে ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তার মরদেহ দাফন করা হবে গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়।
আর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মাহাবুবে খোদার। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে ওই ওয়ার্ডে মারা যান তেরোখাদিয়ার মেরাজুল ইসলাম।
এদিকে, আজ নতুন করে ৪০ জন শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহী জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯৪২ জনে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছেন ৬২৯ জন। এর মধ্যে আজকের দুইজন নিয়ে করোনায় মৃত্যু হলো ১১ জনের। আর জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ১১৪ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন।