হঠাৎ করেই শুক্রবার এক ঝটিকা সফরে লাদাখ সীমান্তে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অথচ সেখানে যাওয়ার কথা ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী নিজেই লাদাখে পা রাখলেন। খবর এনডিটিভি ও আন্দবাজার পত্রিকার। আসলে চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের মনোবল বাড়াতেই মোদির এ ঝটিকা সফর বলে জানা গেছে।
গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সেনাবাহিনীর হামলায় ভারতের ২০ জওয়ানের মৃত্যুর পরে শুক্রবার লাদাখে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী এক দিকে সেনাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। অন্য দিকে চীনকে ‘সম্প্রসারণবাদী’ বলে সমালোচনা করেছেন।
অন্য দিকে, গোটা দেশকে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন—তিনিই লাদাখ পৌঁছে সেনার পাশে দাঁড়ানোর সাহস দেখাতে পারেন। সীমান্তে ভারতের রাস্তা নিয়ে চীন আপত্তি জানালেও দিল্লি পিছু হটবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মোদি।
তবে, লাদাখে দাঁড়িয়েও ‘চীন’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি মোদি। নাম না করেই চীনের ‘সম্প্রসারণবাদের’ দিকে আঙুল তুলেছেন।
মোদি বলেন, সম্প্রসারণবাদের যুগ শেষ। কারও সম্প্রসারণের জেদ চাপলে সে বিশ্বশান্তির পক্ষে বিপদ হয়ে ওঠে। ইতিহাস বলছে এমন শক্তি বরাবরই ধুলায় মিশে গেছে।
এই সফরকে কেন্দ্র করে মোদির ডাকাবুকো ভাবমূর্তি প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, তা ফের প্রমাণিত হল।
সাবেক সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ বলেছেন, মোদির এ ঝটিকা সফরে চীনকে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে। এটা কৌশলগত ভাবে উপযুক্ত পদক্ষেপ।