করোনাসংক্রমণের ব্যাপারে মোবাইল ফোন বিপজ্জনক ভূমিকা নিতে পারে। নতুন এক গবেষণা এমনটাই বলছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, এক একটি ফোন জীবাণুর আখড়া।
সাম্প্রতিক এই রিসার্চ ২৪টি বিভিন্ন দেশের ৫৬টি পুরনো গবেষণার রিভিউ। এসব গবেষণা সাম্প্রতিক মহামারীর আগের হলেও, নতুন গবেষকরা বলছেন- করোনাভাইরাসে যারা ভুগছেন তাদের মোবাইল ও অন্যান্য টাচ স্ক্রিন ডিভাইসে সার্স কোভ ২ উপস্থিত ছিল বলেই মনে হয়।
এই রিভিউটি ট্রাভেল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এ প্রকাশিত হতে চলেছে। এখানে বলা হয়েছে, ওই গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে ৬৮ শতাংশ ফোনই দূষিত ছিল। গোল্ডেন স্টাফ ও ই কোলি মাইক্রোবের উপস্থিতি এই ফোনগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বন্ড ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞানী লত্তি তাজৌরির নেতৃত্বে এই গবেষণায় বলা হয়েছে, “আমাদের সুপারিশ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৭০ শতাংশ আইসোপ্রোপিল বা ফোনসোপের মত কিছু দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।”
পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু, সংশয় ও উদ্বেগের কারণ বাড়ছে
এক বিবৃতিতে ডক্টর তাজৌরি বলেছেন “মোবাইল ডিভাইসগুলো যেন পাঁচতারা হোটেলের প্রিমিয়াম হিটেড স্পা, এখানে মাইক্রোবেরা ফ্রি-তে বুফে ভোজ পায়। এদের জন্য তাপ নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্ত রয়েছে, আমরা এদের পকেটে ভরে রাখি, আমরা এতে নেশাগ্রস্ত। আমরা এর মাধ্যমে কথা বলি এবং সেখানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জমা করি। আমরা এগুলো সঙ্গে নিয়ে খাই, ফলে আমরা এদের মাইক্রো-অর্গানিজমগুলোকে পুষ্টিও জুগিয়ে থাকি।”
তিনি বলেন, “মানুষ ফোন নিয়ে ভ্রমণ করে এবং কোনও বর্ডার অফিসার তাদের চেক করে না। ফলে মোবাইল ফোন ট্রয়ের ঘোড়া হয়ে উঠছে। আমরা জানতেই পারছি না যে আমরা শত্রু বহন করছি।”
ডক্টর তাজৌরি বলেছেন, এমনকি যারা কম ফোন ব্যবহার করেন, তারাও অন্তত দিনে তিন ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করেন। “আপনি যতবার খুশি হাত ধুতে পারেন, এবং ধোয়া উচিতও, কিন্তু তারপর দূষিত ফোন হাতে ধরে ফের আপনি দূষিত হয়ে যাচ্ছেন। ফোনকে আপনার তৃতীয় হাত ভাবুন।”সূত্র: বন্ড ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ভিন্নবার্তা/এমএসআই