বিদেশে কর্মী পাঠালে চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মীর দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
প্রয়োজনে বাংলাদেশি এজেন্সি বিদেশে থাকা তাদের পার্টনার এজেন্সির সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে নিতে পারে। তবে কর্মীদের বিপদে ঠেলে দেয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রোববার (০৫ জুলাই) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় এ কথা জানান মন্ত্রী।
বিদেশে কর্মী পাঠানোর পর রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব কতদিন এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইন, আইনের জায়গাতেই থাকবে। দায় কত দিন? দুই বছর বা তিন বছর, যে চুক্তি থাকবে সেই সময় পর্যন্ত দায়িত্ব নিতে হবে। আমার কর্মীর দায়িত্ব কাউকে তো নিতেই হবে। আমরা তো আমাদের কর্মীকে বিপদে ফেলতে পারি না।
মন্ত্রী বলেন, আইনের মধ্যেই থাকতে হবে সবাইকে। আর আইনের মধ্যে থেকেই আপনাদের কতোটুকু সহায়তা করা যায় সেটা আমরা দেখব।
করোনাকালেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য প্রবাসী কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, এ বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বৈশ্বিক শ্রমবাজারেও এর অভিঘাত দৃশ্যমান। করোনা মহামারি সত্ত্বেও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে প্রেরণ করেছে, যা বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট সুখবর। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১৬.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সভায় বক্তব্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বায়রা সভাপতি বেনজীর আহমদ, বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুল আলম, বায়লা মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানসহ বায়রার নির্বাহী কমিটির সদস্যদের আনেকেই বক্তব্য রাখেন।