আইপিএলের প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচটি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। যে ম্যাচ হারলে রোহিত শর্মাদের দলে কোনোই প্রভাব ফেলবে না।
ওদিকে একই ম্যাচ হায়দরাবাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। আর মাঠের বাইরে থেকেও ম্যাচটির দিকে কড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স।
হায়দরাবাদের হারের জন্য দু-হাত ভরে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেছেন নাইটরা।
তবে নাইটদের সেই প্রার্থনার উল্টোটাই ঘটল। প্লে-অফ নিশ্চিতে জ্বলে উঠল ডেভিড ওয়ার্নারের দল। মুম্বাইকে পাত্তাই দিলেন না হায়দরাবাদের দুই ওপেনার।
১০ উইকেটে হারাল সবার আগে কোয়ালিফাই করা দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে।
মঙ্গলবার শারজা স্টেডিয়ামে আইপিএলের ৫৬তম ম্যাচে টস ভাগ্যটাও ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পক্ষে।
টসে জিতে ব্যাট করতে মুম্বাইকে আমন্ত্রণ জানান ডেভিড ওয়ার্নার।
আর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মাকে হারায় মুম্বাই। মাত্র ৪ রান করে সন্দীপ শর্মার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক।
যদিও রোহিতকে হারিয়েও আগ্রাসী ব্যাটিং করেন কুইন্টন ডি কক ও সূর্যকুমার যাদব। তবে হায়দরাবাদের বোলারদের নৈপূণ্যে বেশি দূর এগুতে পারেননি তারা।
১৩ বলে ২৫ রান করে সন্দীপ শর্মার বলে আউট হন ডি কক। আর সূর্যকুমারকে তুলে নেন শাহবাজ নাদিম। ২৯ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
এই জুটি আউট হবার পর দলের হাল ধরেন ইশান কিশান। ৩০ বলে ৩৩ রান করে সেই সন্দীপের কাছে আত্মসমর্পন করেন তিনি।
ইশান কিশান আউটের পর কায়রন পোলার্ড ছাড়া মুম্বাইয়ের আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি।
এর পর থেকেই পুরো ২০ ওভার ধুঁকতে ধুকঁতে এগিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ব্যাটিং। পোলার্ড ছাড়া বাকি সবার রান টেলিফোন ইনডেক্সের মতো।
এক সময় ৭ উইকেটে যখন মুম্বাইয়ের রান ১১৬, তখন ইনিংসের মাত্র ১৬ বল বাকি। লড়াকু পুঁজি পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছিল।
তবে শেষ সময়ে ছক্কার ঝড় তোলেন কায়রন পোলার্ড। ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে স্বদেশি জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হন পোলার্ড।
বলতে গেলে পোলার্ড ঝড়ে ৮ উইকেটে ১৫০ রানের লড়াকু টার্গেট দিতে পারে আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ার মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
সানরাইজার্স বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সন্দ্বীপ শর্মা। ৩৪ রানে ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। ২টি করে উইকেট নেন জেসন হোল্ডার আর শাহবাজ নাদিম।
দেড়শ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইয়ের বোলাদের পাড়ার খেলোয়াড়ে পরিণত করেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ঋদ্ধিমান সাহা।
কুলকার্নি-চাহালদের কাউকেই পাত্তা দেননি এই দুই ব্যাটসম্যান।
মুম্বাইয়ের ৫ বোলাদের তুলোধুনো করে ১৭ বল বাকি থাকতেই কোনো উইকেট না খুঁইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।
৫৮ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকে অধিনায়ক ওয়ার্নার। আর তাকে সঙ্গ দেয়া ঋদ্ধিমান সাহা ৪৫ বলে অপরাজিত থাকেন ৫৮ রান।
ভিন্নবার্তা ডটকম/পিকেএইচ