মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (JIM) সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং সেন্ট্রালে একটি বিশেষ অভিযানে চালিয়ে মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটকে আটক করেছে। রবিবার (৩ নভেম্বর) পরিচালিত অভিযানে গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ, ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়া থেকে কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নেন।
দুই সপ্তাহ ধরে চালানো গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, অপারেশন টিমকে একটি দোকানের ভিতর থেকে একজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। ৩০ বছর বয়সী ঐ বাংলাদেশি বন্দিশিবিরের কেয়ারটেকার বলে সন্দেহ করা হয়। এসময় তিনি মালয়েশিয়ায় থাকার কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট দেখাতে পারেনি। অভি্যানে ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী ছয় বাংলাদেশী পুরুষকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় কেয়ারটেকার একটি কক্ষের একটি জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আভিযানিক দল বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও সাতটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।
মানবপাচার সিন্ডিকেট ভিকটিমদের ১৫ হাজার রিঙ্গিতের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা) বিনিময়ে ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে একটি রুমে আটক রেখে। এরপর অতিরিক্ত ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে বন্দিশিবির থেকে মুক্তি পায়।
বন্দিশিবিরের কেয়ারটেকারকে মানবপাচার বিরোধী এবং অভিবাসী বিরোধী আইন (এটিআইপিএসওএম) ২০০৭ (অ্যাক্ট ৬৭০) এর ধারা ১২ এর অধীনে একটি অপরাধ করার সন্দেহে গ্রেপ্তার করে শাহ আলম আইপিডি সেন্ট্রালে লকআপে রাখা হয় ।
এদিকে, উদ্ধার হওয়া ছয় বাংলাদেশিকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মালাক্কার তানজুং ক্লিং-এর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সন অ্যান্ড মাইগ্রেন্ট স্মাগলিং অ্যাক্ট ২০০৭ (ATIPSOM)-এর অধীনে অপরাধ করেছে এমন যে কোনও পক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন