নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রিসভা বলছে, এটা না করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার গণভবনের বৈঠকে মন্ত্রিসভা জনগণের প্রতি এই আহ্বান জানায় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বৈঠকের পর সচিবালয়ে ফিরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা বার বার অনুরোধ জানিয়েছে জনগণের প্রতি, এটা (করোনাভাইরাস সঙ্কট) অলরেডি আগের থেকে বেড়েছে। সুতরাং জনগণের পরিপূর্ণ সহায়তা ছাড়া এটা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়।
“সেজন্য সামাজিক দূরত্ব বা কোয়ারেন্টিনের যে কথা বলা হচ্ছে। বার বার মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন আপনারা সামাজিক দূরত্ব ও যেখানে কোয়ারেন্টিন প্রযোজ্য, আপনারা নিজ দায়িত্বে এটা বাস্তবায়ন করবেন। আর অন্যথায় কোনোভাবেই এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।”
বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সোমবারই শতাধিক ছাড়িয়েছে। এতে মারা গেছেন ১২ জন। এই অবস্থায় গত ২৬ মার্চ থেকে চলমান লকডাউনে মানুষকে ঘরে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ছে।
শুধু বিটিভির ক্যামেরা নিয়ে ওই ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমরা এরমধ্যে দেখছি আজকে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও একটু সতর্ক এবং স্ট্রিক্ট ভিউতে সবকিছু…।
“প্রশাসনকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরেকটু স্ট্রিক্ট ভিউতে সোশ্যাল আইসোলেশন বাস্তবায়ন করার জন্য। সেই সঙ্গে ব্যাপক প্রচারণাও চালাবে গ্রাম এলাকাতে, যাতে মানুষ আরও বেশি সতর্ক হতে পারে।আমরা নিজেরা যদি নিজেদের রক্ষা না করি তাহলে এটা আমাদের পক্ষে দুরূহ হবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা।”
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “বিশেষ করে আমাদের চিকিৎসকরা বার বার অনুরোধ জানাচ্ছেন- আমরা চিকিৎসা কার্যক্রম দেওয়ার জন্য বাইরে আছি। আপনারা অনুগ্রহ করে ঘরের ভেতরে থাকবেন।”
মসজিদের আঙিনার বাইরে থেকে কেউ গিয়ে নামাজ না পড়ার নির্দেশনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “মক্কা-মদিনায়ও দেখবেন যারা মসজিদের ভেতরে কর্মী তাদেরকে নিয়ে তারা জামাত করছেন।
“মসজিদের আঙ্গিনায় ইমাম আছেন, মুয়াজ্জিন আছেন আশেপাশের এক-দুজন আছেন তারা হয়তো আসতে পারেন। যদি আমরা গুরুত্ব না দিই তবে কিন্তু এটা কন্ট্রোল করা যাবে না।”
শবে বরাত নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনও যে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভায়ও তা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, “এটা সম্পূর্ণরূপে নফল ও একাকী করার ইবাদত। এটা কোনো জামাত বা দলবদ্ধ ইবাদত নয়। এটা আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে আমরা সবাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব, যাতে এই কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত থাকতে পারি।”
ভিন্নবার্তা ডটকম/এসএস