1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

মহেশপুরে নুরুল্লাহ পাগলের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ ১১:১৬ pm

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের নুরুল্লাহ পাগলের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মারপিটের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ। নুরুল্লাহ পাগল আলামপুর গ্রামের জহর আলীর ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর মহেশপুরের আলামপুর গ্রামে ২১, ২২ ও ২৩ মে ফকিরী সম্প্রদায়ের উরস মাহফিল হয়। উরসের দ্বিতীয় দিন গানবাজনার এক পর্যায়ে গ্রামের কিছু যুবক বাঁশ বাগানের মধ্যে নিয়ে নুরুল্লাহ পাগলকে মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্ঞানশুন্য হয়ে সেখানেই দিনি পড়ে ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার মারধরের কারণে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের চেষ্টা করা হলে আলামপুর গ্রামের ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি পুলিশের জরুরী সেবা সার্ভিস ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনাটি জানালে মহেশপুর থানাকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলে পুলিশ হেডকোয়াটার্স। খবর পেয়ে মহেশপুর থানার এসআই রেজাউল ইসলাম লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের উদ্যোগ নিলে নিহত নুরুল্লাহর ভাই মোশাররফ হোসেন বাধা দেন। তিনি লাশের ময়না তদন্ত করাকে ঝামেলা মনে করেন। তবুও পুলিশ আইনগত ভাবে লাশ ময়না তদন্ত করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এদিকে ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার কারণে পুলিশ ও মারধরকারীদের কাছে বিরাগভাজন হন ইসমাইল হোসেন। যারা নুরুল্লাহ পাগলকে মারধর করেছিল তারা এখন হুমকী দিচ্ছেন ৯৯৯ এ ফোনকারী ইসমাইল হোসেনকে।

তিনি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। অভিযোগ উঠেছে গত ২২ মে ফকিরদের উরস মাহফিলের দ্বিতীয় দিন আলামপুর গ্রামের নাজমুল, শুভ, সবুজ ও জালাল উদ্দীন নুরুল্লাহকে মারধর করেন। মারধরের কারণে হৃদরোগে নুরুল্লাহর মৃত্যু হয়ে পারে বলে অনেকে মনে করেন। বিষয়টি নয়ে মহেশপুর থানার এসআই ও আলামপুর বিটের কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, সুরতহালে রিপোর্ট মারধরের কোন আলামত ছিল না। তবে শরীরের অভ্যন্তরে কোন কিছু থাকলে তা ময়না তদন্তে ধরা পড়েব। তিনি বলেন, প্রথমে নিহত’র ভাই মোশাররফ হোসেন ময়না তদন্ত করেত রাজি ছিলেন না। আমিই নিজ উদ্যোগে মৃত্যুর ক্লু উদ্ধারে ময়না তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, হত্যার আলামতপেলে অপরাধীরা কোন রকমের ছাড় পাবেন না। এদিকে অভিযোগ উঠেছে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ঝিনাইদহের অনেকই নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হন। এ ক্ষেত্রে ফোনকারীর নিরাপত্তা বিধানে তার পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে না। ফলে পুলিশ ও অপরাধী উভয়ের কাছেই ফোনদাতা বিরাগভাজন হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ভিন্নবার্তা/এমএসআই



আরো




মাসিক আর্কাইভ