আগামী বছরের শুরুতে ভ্যাকসিন এলেও তা গরিব ও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটি সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এখন যখন ভ্যাকসিন আনার কথা বলা হচ্ছে, তখন সেটা কতখানি বাণিজ্যিক, কতখানি মানবিক সাহায্য সেটাও পরিষ্কার নয়। কিন্তু দেশে করোনা নিয়ে যে অনৈতিক বাণিজ্য হলো, দুর্নীতি হলো যা এখনও অব্যাহত, ভ্যাকসিন নিয়ে যে সেটা হবে না তা বলা যায় না। যেটুকু বোঝা যায় তা হলো আগামী বছরের শুরুতেও যদি ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, তবে তা দেশের গরিব মানুষ দূরে থাক, মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেও থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘খেলাপিদের ঋণ হাজার কোটি টাকা মওকুফ বা পুনঃতফসিল করতে আমরা যত উৎসাহী করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার বা ট্রায়ালে তত উৎসাহী নই।’
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো এমনকি পাশের দেশ ভারতেও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সরকার থেকে সহযোগিতা করছে। সেখানে বাংলাদেশের গবেষকরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের হিউম্যান ট্রায়াল পর্যায়ে আছে বলে দাবি করলেও সে ব্যাপারে কারও উৎসাহ দেখি না। সরকার কোনও সহযোগিতা করছে কিনা জানা নাই।’
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় করোনাকালীন সময়ে মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়। আলোচনায় অংশ নেন কমরেড জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মো. তৌহিদ, কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, বাবুল খান, শাহানা ফেরদৌসি লাকী, মুর্শিদা আখতার, কাজী মাহমুদুল হক সেনা, শিউলি শিকদার, আব্দুল আহাদ মিনার, তপন সাহা, তাপস দাস, ওমর ফারুক সুমন প্রমুখ।
ভিন্নবার্তা/এসআর