দেশের সব আদালতে (ভার্চুয়াল) ৩০ কার্যদিবসে ৪৪ হাজার ৮০২ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এ সময় ৮৪ হাজার ৬৫৭টি আবেদনের শুনানি করা হয়। শুক্রবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
এর আগে ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহামুদ হোসেন।
ওই দিনই নিু আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। এরপর থেকে নিু আদালতে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়। ১১ মে প্রথমবারের মতো কুমিল্লার আদালতে এক আসামির জামিন হয়।
২৫ জুন পর্যন্ত মোট ৩০ কার্যদিবসের একটি বিবরণীতে দেখা যায়- ১২ মে ১৪৪, ১৩ মে ১০১৩, ১৪ মে ১৮২১, ১৭ মে ৩৪৪৭, ১৮ মে ৩৬৩৩, ১৯ মে ৪০৪২, ২০ মে ৪৪৮৪, ২৭ মে ৮৭৬, ২৮ মে ১৪৪৭, ৩১ মে থেকে ৪ জুন ৬৫৪২, ৭ জুন থেকে ১১ জুন ৫৬৭৫, ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন ৬০৪৭ এবং ২১ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ৫৬০০ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদও বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
তবে সরকার ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল বিচারকাজ অব্যাহত থাকবে বলে রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।