ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৫ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৬৯ জনে। আর মৃতের সংখ্যা ৫৩।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া ১৫১ জন রোগটি থেকে সেরে উঠেছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। এর আগে ভারতে বুধবার একদিনেই ৪৩৭ ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন তামিলনাড়ুতে।
তাবলিগের দিল্লি মারকাজ মসজিদের ধর্মীয় জমায়েতে থাকা অন্তত সাত হাজার ৬০০ ভারতীয় এবং এক হাজার ৩০০ বিদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
তাবলিগের গত মাসের ওই জমায়েত ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসের ছড়ানোর সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠেছে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তাবলিগ জামাতের আরও সদস্য শনাক্ত হলে সংখ্যাটি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিন এলাকায় তাবলিগ জামাতের ওই মারকাজ বা কেন্দ্রকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে।
এর পর থেকে ভারতের ২৩টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত এলাকা ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে সংগঠনটির এক হাজার ৩০৬ বিদেশি সদস্যকে শনাক্ত করে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ এপ্রিল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে, ওই বিদেশিদের মধ্যে এক হাজার ৫১ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন, ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে এবং দুজন মারা গেছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সব ধরনের সুযোগ ব্যবহার করে তাবলিগ জামাতের স্থানীয় সাত হাজার ৬৮৮ সদস্য ও তাদের সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ এদের সবাইকেই কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, যেহেতু তাবলিগে যোগ দেয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন জায়গায় গেছেন, ফলে সংখ্যাটা বাড়তে পারে।
এদিকে রাজ্য সরকারগুলোকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, যারাই লকডাইন ভাঙবেন বা সরকারি কর্মকর্তাদের বাধা দেবেন, তাদের এক থেকে দুবছরের কারাদণ্ডের সাজা দিতে হবে, আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাজা দিতে বলা হয় রাজ্যগুলোকে।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই