
নোয়াখালী জেলাকে স্বতন্ত্র বিভাগ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা জেলা জামে মসজিদ থেকে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুপার মার্কেটের সামনে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- হেফাজতে ইসলাম নোয়াখালী জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জাস্টিস ফর জুলাইয়ের সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সীমান্ত ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ তুষার।
হাজার হাজার আন্দোলনকারীসহ নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ এবং সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
জেলা শহর মাইজদীতে এক ঘণ্টার ব্লকেড কর্মসূচির কারণে ঢাকা-নোয়াখালী, নোয়াখালী-চট্টগ্রাম, নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী–কুমিল্লা, নোয়াখালী-ফেনী সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী এ ব্লকেডের ফলে ওই সময় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং জেলা শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালীতে প্রায় এক কোটি মানুষের বসবাস। নোয়াখালী বিভাগ করার দীর্ঘদিনের এ দাবি সময়ের প্রয়োজনে এখন যৌক্তিক। নোয়াখালী শুধুমাত্র একটি জেলা নয়, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ; যা প্রশাসনিক, অর্থনেতিক ও ভৌগোলিক দিক থেকে অনেক আগেই বিভাগ হওয়ার সব যোগ্যতা অর্জন করেছে। নোয়াখালী বিভাগের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। রাষ্ট্র যদি আঞ্চলিক স্বার্থে এর ভাষা বোঝে তবে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন খুব বেশি দূরে নয়।