ঢাকার মগবাজার-মৌচাক পুরো ফ্লাইওভারে ৪০০টি মত ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও সব জোনে অকোজে হয়ে আছে। ফলে রাতের বেলা অন্ধকারেই থাকে ফ্লাইওভারটি। বাতি অকেজো হয়ে থাকলেও সেগুলো সচল রাখতে নেওয়া হচ্ছে না কোনো কার্যকরী উদ্যোগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাতের বেলায় ফ্লাইওভারটিতে অন্ধকারে ছেয়ে যায়। রিতিমত দুর্ঘটনাসহ মাদক ও ছিনতাই কারীদের আস্তানায় পরিনত হয় ফ্লাইওভারটি। সচেতন মহল বলছেন সংশ্লিষ্টদের নজর না থাকায় দিন দিন সন্ত্রাসীদের দখলে চলে যাচ্ছে ফ্লাইওভারটি।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস মিয়ার সাথে, তিনি বলেন কিছু দিন আগে হোন্ডা এক্সিডেন্টে মা-মেয়েসহ তিনজন মারা গেছে। অন্ধকারের কারেনে প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়। বাতি গুলো দ্রুত ঠিক করার দাবি জানান আব্বাস মিয়া।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার দিয়ে নিয়মিত পাঠাও চালায় রাসেল, কথা হয় তার সাথে, রাসেল বলেন সন্ধা নামলেই অন্ধকারের মরু ভূমিতে পরিনত হয় ফ্লাইওভারটি। এতে করে বাইক চালাতে খুব কষ্ট হয় ঘটে দুর্ঘটনাও। রাতে অন্ধকার থাকায় মাদক কারবারী ও পতিতাদের দখলে চলে যায়। প্রতিনিয়তই চলে ছিনতাই ও অপকর্ম।
শিশির ইসলাম পলক বাসা বাড্ডায়, চাকরি করে পল্টনের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। ফলে রাত করে বাসায় ফিরতে হয়। রাতে ফ্লাইওভারটিতে কথা হয় পলকের সাথে তিনি বলেন। আমি এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। রাতের বেলায় অন্ধকারেই যেতে হয়, এত গুলো লাইট কিন্তু একটিও জ্বলে না। লাইট গুলো মেরামতে কোন ব্যবস্থাও করে না কর্তৃপক্ষ। সরকারের এত বরাদ কিন্তু লাইট গুলো মেরামতের কি কেন বরাদ আসে না?
সরেজমিনে দেখা যায়, মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের রমনা থানা থেকে তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা পর্যন্ত সবগুলো বাতি অচল হয়ে আছে। পুরো ফ্লাইওভারে বসানো শতাধিক বাতির মধ্যে একটি বাতিও জ্বলতে দেখা যায়নি। একই অবস্থা মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে রাজারবাগ এবং শান্তিনগর এলাকায়। সেসব স্থানেও ল্যাম্পোস্টে বাতি লাগানো থাকলেও মিলছে না আলো। ফলে রাত যত গভীর হয় ৮.২৫ কিলোমিটারের ফ্লাইওভারটি তত অন্ধকারে ভূতুড়ে হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যরা রাতের আঁধারে অকেজো করে দিয়েছে বাতিগুলো। সড়কবাতি সচল রাখতে সংযোগ দেওয়া বৈদ্যুতিক লাইনের তার ও লোহার পাত এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে এসব চোরেরা। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় এবং ফ্লাইওভারটি রক্ষাণাবেক্ষণকারী সংস্থার সঠিক নজরদারি না থাকায় চক্রের সদস্যরা এমন কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে হরহামেশাই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ এমদাদুল ইসলাম ভিন্নবার্তাকে বলেন, ‘ফ্লাইওভারের বাতিগুলো সচল করতে এরইমধ্যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।’
ভিন্নবার্তা/এসআর