আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘করোনা সংকটে তৈরি পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার টিকিয়ে রাখার জন্যই ঢাকার আশপাশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো সীমিত আকারে চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেননা দীর্ঘদিন এসব ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় এর আন্তর্জাতিক বাজার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নিজের বাসা থেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। দলটির ত্রাণ উপকমিটির উদ্যোগে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অসহায় গরিব মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে এই ভিডিও কনফারেন্স হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চালু করা ফ্যাক্টরিগুলোতে ঢাকায় অবস্থানকারী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। মালিকরাও তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু চাকরি হারানোর ভয়ে অসংখ্য শ্রমিক ঢাকায় প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে মালিকদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ভাসমান গৃহহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তালিকা প্রণয়ন করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী যাতে কেউ গৃহহীন না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে করোনা সংকট মোকাবিলা করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অসহায় মানুষের জন্য ২২০০ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই