1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
শিরোনাম :

বাজারে নকল মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজারে সয়লাব

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০ ১০:৫২ pm

নিম্নমানের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নকল সুরক্ষা সামগ্রীতে সয়লাব সারা দেশ। নামে বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তৈরি হচ্ছে এসব মানহীন পণ্য। আর মুনাফা বেশি হওয়ায় রাস্তাঘাটে দেদারসে সেগুলো বিক্রি করছেন এক শ্রেণির বিক্রেতা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নানা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছে। কিন্তু মানহীন কেমিক্যালে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সার্জিক্যাল মাস্ক মানুষকে কতটা সুরক্ষা দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানহীন পণ্য ব্যবহারের ফলে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এজন্য মানহীন পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ তাদের।

গত ৮ মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই এক শ্রেণির অসাধু মানুষ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই ও হ্যান্ড গ্লাভস তৈরিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এসব পণ্যে মানুষের চাহিদা থাকায় যে যার মতো করে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বাজারজাত করতে থাকে। মানহীন এসব পণ্য বিক্রির মুনাফা বেশি হওয়ায় ফার্মেসি থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত সব জায়গায় বিক্রি হতে থাকে। কিন্তু কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন না পড়ায় ইচ্ছে মতো তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য।

জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে অনেকে নিম্নমানের কেমিক্যাল দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বাজারজাত করছে। একইভাবে তৈরি করা হচ্ছে নিম্নমানের মাস্কও।

ভুক্তভোগী মো. আরমান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকে বাজারে অসংখ্য নামে হ্যান্ডরাব ও স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে। এগুলো একই পরিমাণে কোনোটির দাম ৫০ টাকা আবার কোনোটি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। অধিকাংশ বোতলের গায়ে পণ্যের উপাদানের বিবরণ নেই। তৈরির দিন তারিখ বা ব্যাচ নম্বরও নেই। এসব সুরক্ষা পণ্য কিনে প্রতিনিয়ত আমরা ঠকছি ও করোনার ঝুঁকিতেই পড়ছি। অনেকেই সুরক্ষা না পেয়ে আক্রান্তও হচ্ছেন।

গণপরিবহণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নামে ফুটপাত থেকে কেনা ওইসব মানহীন স্যানিটাইজার বা স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অনেকেরই অভিযোগ।

মিরপুর ১০ নাম্বার থেকে বিকল্প অটো সার্ভিস পরিবহনের একটি বাসে করে পল্টন যাচ্ছেন বেসরকারি কর্মকর্তা মো. হায়দার। তিনি বলেন, গণপরিবহনে ওঠার সময় যেসব জীবানুনাশক ছিটানো হচ্ছে এগুলোর কোনো মানই নেই। যাত্রীদের হাতে কী দেওয়া হচ্ছে তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

বাজারের একাধিক রঙের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাব পাওয়া যায়। এসব পণ্যে রঙ ব্যবহারের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান বলেন, রং ব্যবহার সম্পূর্ণটাই প্রতারণা বলা যায়। রং কোনো জীবাণুনাশক নয়। হ্যান্ড স্যানিটাইজারে রং ব্যবহার করা উচিত নয়। রংয়ের অন্তরালের সঠিক পরিমাণে জীবাণুনাশক দেওয়া হচ্ছে না। আমার মতে রঙের অন্তরালে প্রতারণা চলছে।

গত ২৭ জুন রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে আটটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় ৪ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাব, ৫০ কেজি ওজনের ১৪টি ড্রামে খোলা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং দুই হাজার লিটার লিকুইড জব্দ করা হয়। সর্বমেট নয়টি মামলায় আটটি প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া গত ১২ জুলাই দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিরোধী অভিযান। রাজধানীর মহাখালী এলাকায় ‘ইনার বেস্ট অ্যান্ড কিউ এস বিডি’ কোম্পানিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার রোজম্যারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সামীকে (৩৬) এক বছর এবং একই প্রতিষ্ঠানের প্রোডাকশন ম্যানেজার মো. হাফিজুর রহমানকে (২৮) এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনুমোদনহীন ৫ হাজার ৩৫০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ২ হাজার খালি বোতল এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জব্দ করা হয়।

র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড জেল নিয়ে আমি মূলত কাজ করে থাকি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যান্ড জেল এক ধরনের ওষুধ। এই ধরনের উৎপাদনের ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লাইসেন্স লাগে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ী চক্র নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছে অতিরিক্ত লাভের আশায়।

নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিটফোর্ড এলাকা থেকে রাজধানীসহ দেশের সব স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ হচ্ছে। জেল বা লিকুইড ফরমেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল উপাদান ইথানল অথবা অ্যালকোহল। ইথানলের পরিবর্তে তারা (একটি চক্র) মিথানল ব্যবহার করছে। ইথানলের তুলনায় মিথানলের মূল্য পাঁচ ভাগের এক ভাগ। তাছাড়া মিথানল জীবাণুনাশক হিসেবে কার্যকর নয়। এগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির গাইডলাইন অনুযায়ী ৭০ শতাংশ ইথানল বা অ্যালকোহল থাকতে হবে। খোলা বাজারে বা রাস্তায় যেসব স্যানিটাইজার বিক্রি করা হচ্ছে প্রায় সবগুলোতেই মিথানল ব্যবহার করা হচ্ছে।

ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, রাস্তায় বিক্রি করা এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলোর মান নেই। ঘরে বসেই বানানো হচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জেল তৈরির কাঁচামাল যেখান থেকে সারাদেশে যাচ্ছে, সেটাই আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। মিটফোর্ড থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামাল যাচ্ছে। উৎপাদিত স্থানটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। কয়েক দিন আগে মিটফোর্ড এলাকায় গিয়ে দেখেছি, এখন অনেক কমে এসেছে নকল কাঁচামাল বিক্রি। নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জেল বিরোধী অভিযান আমাদের অব্যাহত আছে।



আরো




আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  

মাসিক আর্কাইভ