1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

করোনার মধ্যেই ফের ডেঙ্গুর হানা!

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০ ৬:৫৭ pm

করোনায় থমকে গেছে বিশ্ব, পুরো বাংলাদেশ করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে এরই মধ্যে হানা দিয়েছে মশাবাহিত আরেক আতঙ্ক ডেঙ্গু। গত বছর দেশে রেকর্ড সংখ্যক এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ বছরের শুরু থেকেই সেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আবারও দেখা দিয়েছে, যদিও এর ভয়াবহতা এখনও সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋতু বদলজনিত কারণে এখন যেহেতু মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে, আবহাওয়া বদলাচ্ছে, তাই শুষ্ক স্থানে আগে থেকে পেড়ে রাখা এডিস মশার ডিম থেকে লার্ভা তৈরি হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হচ্ছে প্রকৃতিতে। তাই করোনার ডামাডোলের ভেতরেই এখন থেকেই এডিসসহ সব ধরনের মশা নিধন কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।

অবশ্য, এডিস ছাড়াও কিউলেক্স মশার ঘনত্ব গত ডিসেম্বর মাস থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে ভয়াবহভাবে বেড়েছে। গত বছর মশা নিধনে প্রথমে রাজধানী ও পরে দেশজুড়ে ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও এ বছর এখন পর্যন্ত সে কার্যক্রম শুরুই হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের জন্য রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কগুলো জীবাণুনাশক দিয়ে ভেজানো হলেও এই পানি ফুটপাথে বা পথের দু’পাশে পড়ছে না। আর ডেঙ্গু মশা যেহেতু পরিষ্কার পানিতে ডিম ফোটায়, ফলে করোনাভাইরাসের কারণে শহরের যেসব এলাকায় নির্মাণকাজ অসমাপ্ত রেখে শ্রমিকরা চলে গেছেন, সেসব জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির পরের অবস্থা কী তা জানতে সিটি করপোরেশনগুলোর এখনই ভূমিকা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ডেঙ্গু মশা ডিম পাড়তে পারে বা বংশবিস্তার ঘটাতে পারে, এমন জায়গাগুলো পরিচ্ছন্ন করা এই মুহূর্তে ভীষণ দরকার হয়ে পড়েছে।

এদিকে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ইতোমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসতে শুরু করেছেন হাসপাতালগুলোতে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ কন্ট্রোল ইমার্জেন্সি ও অপারেশন্স সেন্টার থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৯ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৮৩ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ছয় জন। এরমধ্যে ঢাকার ভেতরে পাঁচ জন আর ঢাকার বাইরে একজন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোগী সংখ্যা ছিল ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ জন, মার্চে ২৭ আর এপ্রিলে এখন পর্যন্ত ১৮ জন রোগী শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনও মৃত্যু নেই। যদিও কু‌ড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)-এর উলিপুর উপজেলার দা‌য়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জুবাইদুল ইসলাম গত ৮ এপ্রিল সেখানেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হ‌ন। তবে হার্টের সমস্যা ও শ্বাসকষ্ট থাকায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ঢাকায় আনার পথে তার মৃত্যু হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গুর রোগী ধীরে ধীরে পাওয়া যাচ্ছে, মশা নিধন কার্যক্রম হাতে নিতে হবে এখন থেকেই ঢাকাসহ দেশজুড়ে।

তবে গতবারের মতো এবার ডেঙ্গুর বেশি প্রকোপ নাও হতে পারে বলে মনে করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন। বাংলা ট্রিবিউনকে তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত তিন মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমতির দিকে। আর যখন কোনও পেন্ডেমিক চলে তখন মানুষ কিছুটা সতর্ক থাকায় অন্য ইনফেকশনের মাত্রা কম থাকে অথবা সেভাবে হয় না। এজন্য মনে হচ্ছে এবারে ডেঙ্গু হলেও তা আগের বছরের তুলনায় ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নাও যেতে পারে।

আর যেহেতু এখন বৃষ্টি সেভাবে হচ্ছে না, বৃষ্টি হলে তখন আরও পরিষ্কার একটা চিত্র আমরা দেখতে পাবো, বলেন অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন।

তবে গবেষক আতিক আহসান এর উল্টো দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সপ্তাহে বেশ বৃষ্টি হতে পারে। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এই বৃষ্টির কারণে আগামী মাসের শুরু থেকেই আবার এডিস মশা বাড়তে শুরু করবে। আর এই মশা বাড়াবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। কারণ, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে গড়ে ১০ দিন সময় দরকার হয় ডিম থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিণত হতে। সে হিসেবে মে মাসের শুরু থেকেই এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে।

সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে আতিক আহসান বলেন, সে কারণে এখন থেকেই ডেঙ্গু নিয়ে ভাবার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।

প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছেন চিকিৎসকরা মন্তব্য করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার আফসানা আলমগীর খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যেহেতু ডেঙ্গু এবং করোনার লক্ষণ-উপসর্গ এক, অর্থাৎ জ্বর নিয়েই রোগীরা আসছেন, কিন্তু করোনার ডায়াগনসিসে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা হচ্ছে না। তাই একে মাথায় রেখে দেশের সব সিভিল সার্জন অফিসে চিঠি দেওয়া হয়েছে, জ্বরের রোগী এলে যদি কোভিড-১৯ নেগেটিভ হয়, তাহলে ডেঙ্গু অথবা যেকোনও জ্বরের যেসব পরীক্ষা আছে তা যেন করা হয়।

গত বছর থেকেই দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫২ হাজারের মতো কিট ৬৪ জেলায় দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সবার কাছে এই কিট রয়েছে, সুতরাং কিটের স্বল্পতা বা এ ধরনের কিছু বলার সুযোগ এবারে নেই, ওষুধও রয়েছে পর্যাপ্ত।

একইসঙ্গে চলতি সপ্তাহেই দেশের সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সংশ্লিষ্টরা। তাদের বিষয় ছিল, করোনার সঙ্গে ডেঙ্গুকে যুক্ত করে কীভাবে কাজ করা যায়। আর এজন্য তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রতিরোধ এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম জনসাধারণকে জানাতে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা।

একইসঙ্গে ঢাকার ভেতরে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী মঙ্গল অথবা বুধবারেই এ বিষয়ে মিটিং করা হবে বলেও জানান আফসানা আলমগীর খান।

ভিন্নবার্তা/এমএসআই



আরো




আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

মাসিক আর্কাইভ