২০১৪ স্থগিত (২০১৮) সালে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেল প্রত্যাশীগণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। ১২ জুলাই সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১৪ স্থগিত (২০১৮) সালে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেল প্রত্যাশীদের ২৬ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক সালেহা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আকতারউজ্জামান, মহুয়া আক্তার, আমেনা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, পাপড়ী, রুপ্তি বিশ্বাস, মুন্নি আক্তার, ইয়াসমিন পপি, আকলিমা আক্তার, আফরোজা আক্তার, রাফিয়া, জিয়াছমিন, তানিয়া, মাহফুজা, নাজনীন, হাসিনা আক্তার, জাকির হোসেন রিয়াদ, মুঈন উদ্দিন, দীলিপ বিশ্বাস, সালাহউদ্দিন, সোহেল, সালেহ, আলমগীর, শরিফুল ও মাহফুজ।
প্রতিনিধি দল মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেও এ স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করেন।
স্মারক লিপিতে জানানো হয়, ২০১৪ স্থগিত ২০১৮ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিত ১৯৭৮৮ জন প্রার্থী। পূর্ববর্তী দুটি পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ৪ বছরের জন্য স্থগিত ছিল এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরে যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তখন শূন্যপদ পূরণ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৯৫৫৫ জন প্রার্থী যেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ। মোট পাশের হার ছিল ২.৩ শতাংশ। এদের মধ্যে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয় ৯৭৬৭ জন। বিপুল সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে নিয়াগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
পরীক্ষাটি ৪ বছর স্থগিত থাকার কারণে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রার্থীর চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয় এই ৯০ শতাংশ প্রার্থী। ২০১৪ সালের প্যানেল প্রত্যাশীদের সংখ্যা বর্তমানে খুব বেশী নয়। যারা ইতিমধ্যে অনেকেই অন্যান্য চাকরিতে কর্মরত আছে।
আজকের স্মারকলিপিতে জানানো হয় বর্তমানে ৬০,০০০ শূন্যপদ রয়েছে। তীব্র শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় যোগ্য ও বঞ্চিত প্রার্থীদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় আজকের স্মারকলিপিতে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এসএস