1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

প্রথমবারেই সুগন্ধি ধানের বাম্পার ফলন, খুশিতে আত্মহারা কৃষক

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০ ১০:১২ pm

খুলনার উপকূলীয় এলাকায় চলতি আমন মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি-ধান-৯০।

মাত্র তিন কাঠা জমিতে চাষ করা এই উচ্চফলনশীল আধুনিক জাতের সুগন্ধি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চিকন দানার এই সুগন্ধি ধানের হেক্টরপ্রতি উৎপাদন পাঁচ টন হওয়ায় এলাকায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। একই সঙ্গে ১১৮ দিনে আমন ধান পাকতে দেখে অবাক কৃষকরা।

বর্তমানে এ এলাকায় স্থানীয় বড়ান জাতের ধানের মাঠ এখনও সবুজ এবং কেবল পুষ্পায়ন হচ্ছে। এসব ধান কাটতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। কিন্তু একই সময় রোপণ করে মাত্র ১১৮ দিনেরও কম সময়ে আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় ধানের এ জাতটি নিয়ে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

যেসব জমি মাঝারি উঁচু এবং উঁচু সেখানে এ ধান চাষ করে মধ্য কার্তিকে ধান কাটার পর সেখানে রবিশস্য চাষ করা যায়। বিশেষ করে সরষে, আলু, শাক-সবজি করা সম্ভব হবে। সাধারণত এ এলাকায় স্থানীয় জাতের আমন ধান অনেক দেরিতে পাকায় নতুন কোনো ফসল চাষ করা যায় না।

ফলে এলাকার বেশিরভাগ জমি এক ফসলি এবং তা বছরের ৭-৮ মাসই পড়ে থাকে। ব্রি-ধান-৯০ একদিকে মাত্র চার মাসের মধ্যেই পাকে এবং ফলনও বেশি। স্থানীয় রানি স্যালট, জটাই, হরকোচ, ভাটেল ধানের হেক্টরপ্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদন সাড়ে তিন থেকে চার টন। সেখানে ব্রি-ধান-৫ টন পর্যন্ত উৎপাদন হয়।

বৃহত্তর খুলনা উপকূলীয় এলাকায় মাঠপর্যায়ে এ ধানের চাষ হওয়ার খবর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কাছেও নেই। এমনকি বটিয়াঘাটার দাউনিয়াফাদ গ্রামে চাষ হওয়া ব্রি-ধান-৯০ সর্ম্পকেও খুব কম লোকে জানে।

গুপ্তমারি গ্রামের কৃষক রণজিত রায় প্রথম এ ধানের চাষ করেন। তাকে ব্রি থেকে বীজ সংগ্রহ করে দেন একজন শৌখিন ধানচাষি। ধান পাকার পর ফলন দেখে অনেকের এই ধান চাষে আগ্রহ বেড়ে যায়।

রণজিত রায় তিন কাঠা বর্গা জমিতে তিন মণ ফলন পাওয়ায় খুবই খুশি। তিনি বলেন, এত অল্প জমিতে এত পরিমাণ ফলন পাব ভাবতেও পারিনি। এলাকার অনেকেই বীজ চেয়েছেন। প্রতি কেজি বীজ দেড় থেকে ২০০ টাকা দর চেয়েছি। তবু নিতে আগ্রহী চাষিরা।

রণজিত রায় বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনই নিয়েছেন দুই মণ বীজ। তিনি আগামী বছর তিন একর জমিতে এ ধান চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।

দাইনিয়াফাঁদ গ্রামের কৃষাণি আরতি রায় বলেন, এমন সুন্দর ছোট ছোট দানার ধানের এত ভালো ফলন আগে কখনও দেখিনি। আমরা যখন আমন ধান কাটি তখন পৌষ মাস। তার দুই মাস আগেই চলে এসেছে এই ধান। আমি এর নাম দিয়েছি ‘মুসরি দানা’।

এলাকার কেউ কেউ এ ধানকে বলছেন বেগুনবিচি। আবার কেউ নাম দিয়েছেন স্বর্ণালি ভোগ। মুক্তার মতো ছড়ায় গাঁথা ধানের চালের ভাত খেতে সুস্বাদু এবং তাতে সুগন্ধ থাকায় পোলাওসহ বিভিন্ন উৎসবে রান্নার উপযোগী।

এ ধানের চাল বিদেশে রফতানিযোগ্য বলছেন ব্রি-র বিজ্ঞানিরা। কেবল খুলনা উপকূলীয় এলাকায় নয়, সারাদেশে আগাম আমন ধান হিসেবে ব্রি-ধান-৯০ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে এমনটাই আশা করেন উদ্ভাবক ব্রি-র বিজ্ঞানিরা। ২০১৯ সালে এই জাতটি মাঠপর্যায়ে চাষে ছাড়পত্র দেয় বীজ প্রত্যয়ন বোর্ড।

ভিন্নবার্তা/এসআর



আরো




মাসিক আর্কাইভ