নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরেই পচা-বাসি মুরগি দিয়ে তৈরি হচ্ছে রকমারি খাবার। হাতে ক্ষতযুক্ত কর্মচারীর দ্বারা তৈরি করছে খাদ্যপণ্য। এছাড়া পোড়া তেল আর ভেজাল মসলা ব্যবহার করা হচ্ছে খাবারে। ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সঙ্গে রাখা রান্না করা খাবার।
বুধবার রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগের পিজ্জা কিংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। রেস্তোরাঁটিতে এমন দৃশ্য দেখতে পান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ। এসব অপরাধে পিজ্জা কিংকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, পিজ্জা কিং বাইরে থেকে চকচকে দেখা গেলেও ভেতরে উল্টোচিত্র। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছে খাবার। পচা-বাসি মুরগি সংরক্ষণ ও ব্যবহার করছে। তৈরি খাবার ঢাকনাবিহীন অবস্থায় রাখা। ময়লাযুক্ত ডিম তৈরি করে খাবারের পাশেই রাখা। রেফ্রিজারেটরে রান্না করা ও কাঁচা খাবার একই সঙ্গে সংরক্ষণ করে রেখেছে। হাতে ক্ষতযুক্ত কর্মচারীর দ্বারা খাদ্য প্রস্তুত করছে।
এছাড়া পোড়া তেল দিয়ে রান্না করছে। তারা যে মসলা ব্যবহার করছে তার লেবেল নেই। এটি আসল নাকি নকল বোঝার উপায় নেই। এসব অপরাধে পিজ্জা কিং রেস্তোরাঁকে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
একইদিন মতিঝিল দিলকুশা এলাকার ‘হট হাট’ রেস্তোরাঁয় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিএফএসএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শান্তনু চৌধুরী।
প্রতিষ্ঠানটির রান্নাঘরে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। রান্নাকরা মাংসের কিমা খোলা আকাশের নিচে ময়লার সাথে ঢাকনাবিহীন অবস্থায় রাখা। খাবারে মাছি উড়তে দেখেন ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া লেবেলহীন বিস্কুট ও বনরুটি দিয়ে তৈরি করছে খাবার। এসব অপরাধে হট হাট রেস্তোরাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এনআই/শিরোনাম বিডি