মানবপাচারের অভিযোগে বর্তমানে কুয়েতের কারাগারে বন্দি আছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। এমতাবস্থায় সাংসদ পাপুলের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদ।
আজ সোমবার গণমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ইতোমধ্যে রাষ্ট্রদূত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্বে না থাকলেও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করবে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অবশ্যই বড় অ্যাকশন হবে। ইতোমধ্যে নতুন রাষ্ট্রদূত কে যাবেন, সেটাও নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান রাষ্ট্রদূত বাদ হলেও যদি দেখা যায় যে, এগুলোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে, তারা এটা দেখবে।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি এমপি পাপুলের পক্ষে সাফাই গেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস.এম আবুল কালাম। চিঠিতে তিনি বলেন, পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘বানোয়াট’।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘এমপি পাপুলকে মানব পাচারকারী উল্লেখ করে কুয়েতের গণমাধ্যমগুলোতে যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এ ব্যাপারে কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস পত্রিকার রিপোর্টারকে আমার দপ্তরে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। সে বলেছে, লোকমুখে শুনে এসব সংবাদ তৈরি করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন এমপি পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয়। কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের হাতে প্রয়োজনীয় প্রমাণ থাকার পরও প্রথমে পাপুল দোষ স্বীকার করেননি। তারপর তার সামনে ভুক্তভোগীদের ৭ জনকে হাজির করা হয়। তারা যখন সামনাসামনি এসে প্রতারণার শিকার হওয়ার কথা বর্ণনা করেন তখন চুপ ছিলেন পাপুল। তার সামনেই ভুক্তভোগীরা অভিযোগ আনলেও তিনি কিছু বলেননি। পরে দেশটির সিআইডির কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেন সাংসদ পাপুল।