নদীতে তীব্র স্রোত আর ফেরি সংকটের কারণে প্রতিনিয়তই ভোগান্তি বাড়ছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। অপেক্ষমাণ যানবাহনের সারি ছোট হলেও ভোগান্তি কমেনি ট্রাক চালকদের। এখনো পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৮ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের প্রায় ৭ কিলোমিটার আগেই ঘাটমুখী সাধারণ পণ্যবাহী সব ট্রাক আটকে দিচ্ছে পুলিশ। পরে সেখান থেকে কিছু কিছু করে ট্রাক পাঠানো হচ্ছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।
এতে করে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে ট্রাক চালকেরা। আধ ঘণ্টার নৌপথ পারের জন্য ঘাট এলাকাতেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে তিন থেকে চার দিন। এতে করে শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক চালকরা।
রোববার (১৯ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত নৌপথের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের টার্মিনালে পারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক ট্রাক। আর মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড় থেকে আরিচা ঘাট এলাকা পর্যন্ত রয়েছে আরও চার শতাধিক ট্রাক।
সব মিলিয়ে নদীপথ পারের অপেক্ষায় ৮ শতাধিক ট্রাক অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানান ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্টে ৫০ থেকে ৬০ টি নৈশ কোচ নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তারা। তবে অপেক্ষমাণ নিই কোনো ছোট গাড়ি।
মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, ‘পাটুরিয়া ফেরিঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘাটের সাত কিলোমিটার আগে মহাসড়কের উথুলী মোড় থেকে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রাখা হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটের ট্রাকের চাপ কমলে আটকে থাকা ট্রাকের সারি থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী ৫০ টি করে ট্রাক ঘাটে পাঠানো হচ্ছে।’
সবশেষ উথুলী মোড় ও আরিচা এলাকা মিলে ঘাটমুখী চার শতাধিক ট্রাক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে সময় লাগছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বেশি। ঘাটে পারের অপেক্ষায় চার শতাধিক ট্রাক ও ৫০ থেকে ৬০ টি নৈশ কোচ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৬ টি ফেরি থাকলেও যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে মাত্র ১২ টি ফেরি। বাকি ফেরিগুলো রয়েছে পাটুরিয়া ঘাটের মেরামত কারখানায়। যে কারণে নৌপথ পারাপারে ভোগান্তি বাড়ছে।