নড়াইল সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সরকারী পে-অর্ডারের দু দফায় ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ৪৪০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সদর সাব রেজিষ্ট্রার মোঃ শাহজাহান মোল্যা,অফিসের বড় বাবু সরোয়ার মল্লিক সহ সাময়িক বরখাস্ত পিয়ন মো. তরিকুল ইসলাম সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখা থেকে ওই টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। (৩ নভেম্বর) বিকালে এ ঘটনায় সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন সাব রেজিস্ট্রার মোঃ শাহজাহান মোল্লা।
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখায় সদর সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের ২৫০৭২০২০০০৮৩০ নম্বরের একটি সঞ্চয়ী হিসাব আছে। হিসাবটি সাব রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়। তবে অফিসের চেক বই সহ সরকারী সমস্ত দরকারী জিনিস থাকে অফিস করণিক বড় বাবু সরোয়ার মল্লিকের কাছে। ওই হিসাব থেকে গত ১ অক্টোবর ৯ লাখ ৫২ হাজার ২৪০ টাকা ও ২৯ অক্টোবর ১০ লাখ ২২ হাজার ২০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে শাহজাহান মোল্লা বলেন, গতকাল সোমবার ওই হিসাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই হিসাব থেকে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ৪৪০ টাকা তুলা নেওয়া হয়েছে। তখন ব্যাংকের সিসি ফুটেজ দেখে বোঝা যায় সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের পিয়ন মো. তরিকুল ইসলাম এ ঘটনার সাথে জড়িত। তিনি ওই টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
জেলা রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘তরিকুল মঙ্গলবার অফিস করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে।’ তরিকুল ইসলামের মুঠোফোনে বারবার যোগযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো. আবু সেলিম এ প্রতিনিধিকে বলেন, সাব রেজিষ্ট্রার ব্যাংকে এসেছিলেন। চেক দু’টির স্বাক্ষর তার (সাব রেজিষ্ট্রারের) বলে তিনি স্বীকারও করেছেন। সাব রেজিষ্ট্রার জানিয়েছেন, হয়ত কোনো প্রকারে বা ভুল বুঝিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে এ স্বাক্ষর করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অফিস স্টাফ জানান,আমাদের সদর সাব রেজিষ্ট্রার যোগ দানের পর থেকে অফিসের বড় বাবু সরোযার মল্লিক ও সার প্রায় সময়ই কিছু লেখকদেও নিয়ে তার খাস কামরায় দরজা জানালা আটকিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করে থাকেন।
এদিকে সদর সাব রেজিষ্ট্রার শাহাজাহান হোসেন মোল্যা নড়াইলে যোগদানের পর থেকে অসাধু ও চিহ্নিত কিছু ক্ষমতাশীল দলিল লেখকদের সহযোগীতায় জমীর শ্রেনী পরিবর্তন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।যাতে করে সরকারী কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার মতো অনেক কঠিন অপরাধ কওে যাচ্ছেন। জানা যায় তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে এমন কাজ করতে কোন দ্বিধাদ্বন্দ করেন না।বিষয়গুলি নিয়ে সাব রেজিস্টার মো. শাহজাহান হোসেন মোল্লাকে কয়েকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে অর্থ আত্মসাৎ এর ব্যাপাওে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তালিকাভুক্ত অপরাধ। তাই থানায় জিডি করে দুদকে পাঠানো হচ্ছে।’
ভিন্নবার্তা/এসআর