বছরে ভোজ্য তেল আমদানিতে দেশের খরচ হয় প্রায় চব্বিশ হাজার কোটি টাকা। দেশে ভোজ্য তেলের যে আবাদ হয় তা দিয়ে দেশের শতকরা দশ ভাগের মত পূরণ হয়। সরকারের আগামী তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি হবে প্রায় ৪০ ভাগ। সে লক্ষ্যে সারাদেশে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নবীনগর উপজেলায় এবছর ৩৯৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা উৎপাদন হয়েছে যা পূর্বের বছরের চেয়ে প্রায় ৮৫০ হেক্টর বেশি। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে প্যাটার্ন ভিত্তিক সরিষা প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ধান ফসলের মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধি করে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর এবং জিনোদপুর ইউনিয়নে রোববার মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবু তাহের ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম। প্রায় দেড় শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণীদের বীজ সংরক্ষণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কলাকৌশলের উপর দিনব্যাপী আলোকপাত করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, নবীনগর উপজেলায় এবছর কৃষি বিভাগের প্রণোদনা এবং প্রদর্শনী কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ৪৫০০ জন কৃষকের মাঝে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে গড় ফলন বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জাত হিসেবে সম্প্রসারণ হচ্ছে উন্নত বারি সরিষা ১৪, বারি সরিষা ১৮, বিনা সরিষা ০৪ এবং বিনা সরিষা ১১। আমাদের লক্ষ্য বিঘা প্রতি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সরিষা ফসলের এলাকা সম্প্রসারণ।
অতিরিক্ত পরিচালক, কুমিল্লা অঞ্চল ড. মোহিত কুমার দে জানান, ভোজ্য তেল হিসেবে সরিষা তেল আবহমান বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফসল। বর্তমান সরকার এই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এলাকা সম্প্রসারণে নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদেশী আমদানি নির্ভরতা কমানো।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই