দিনাজপুরের বিরামপুরে রক্তাক্ত ও পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় মারুফ হাসান (১০) নামক এক মাদরাসা ছাত্রকে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মাদরাসার মোহতামিম লুৎফর রহমানকে (৩৫) আটকের পর বুধবার অদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মারুফ হাসান উপজেলার দিওড় ইউপি’র কাদিপুর গ্রামের ত্বালিমউদ্দিন ইসলামীয়া মাদরাসার ছাত্র ও পাশের নবাবগঞ্জ উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের মাছুম মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে আটককৃত লুৎফর রহমান পাশের ফুলবাড়ী উপজেলার রুদ্রানী (মন্ডলপাড়া) গ্রামের মৃত সাইফুর রহমানের ছেলে।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ওই শিশু শিক্ষার্থী মারুফ হাসান গত একমাস যাবৎ লেখাপড়া করছেন। লেখাপড়া চলাকালীন মাদ্রাসার মোহতামিম লুৎফর রহমান শিশুকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। মঙ্গলবার দুপুরে লুৎফর রহমান তার অফিস কক্ষে শিশুটিকে ডাক দিয়ে কক্ষের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে দুই পা শিকল দিয়ে বেঁধে তালাবদ্ধ করে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করার কারণে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে রেখে অফিস কক্ষ হতে বাইরে চলে যায়। সন্ধ্যার সময় শিশুটি কৌশলে মাদরাসার অফিস রুম হতে বের হয়ে পাশের গ্রাম তৈয়বপুর (চৌধুরী পাড়ায়) ধানক্ষেতে মুমুর্ষ অবস্থায় পরে থাকে। স্থানীয়রা বিষয়টি জানালে আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রুত সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করি। শিকল খুলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাৎক্ষনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এবং শিশুটির পিতামাতাকে খবর দেই।
তিনি আরো জানান, শিশুটির পিতা মাছুম মিয়া বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষককে আটক করি। পরে আটককৃত আসামী লুৎফর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ভিন্নবার্তা ডটকম/পিকেএইচ