করোনাভাইরাস দুর্যোগে ভারতে আটকে পড়া ৩১৮ বাংলাদেশি বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশিদের ফেরত আনার দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ (২ মে) দিল্লি হয়ে বাংলাদেশ বিমানে ১৫১ জন এবং চেন্নাই হয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে ১৬৭ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। ভারতের নয়া দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দিল্লি থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের মধ্যে ভারতে চিকিৎসার জন্য আসা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী রয়েছেন। এ ছাড়া দিল্লি ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরাও এই ফ্লাইটে দেশে এসেছেন।
দিল্লি থেকে মাত্রার পূর্বে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস কর্মকর্তাদের একটি দল যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চেন্নাই থেকে ফেরা যাত্রীদের অধিকাংশই রোগী ও তাদের সঙ্গে শশ্রূষাকারী হিসেবে যাওয়া পরিবারের সদস্য। আগামী তিনদিনে মুম্বাই, কলকাতা ও দিল্লি থেকে বাংলাদেশ বিমানে আরও প্রায় চারশ’ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে উভয় দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের দিক নির্দেশনায় দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করছেন। তারা ভারতে লকডাউনের আংশিক শিথিলতার সুযোগে দেশে ফেরানোর প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে সুবিধা লাভের চেষ্টা করছেন। কিন্তু হাইমাধ্যমে ভারত সরকারের অনুমোদন গ্রহণ ছাড়া আন্তঃরাজ্য ভ্রমণে পথিমধ্যে আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এর আগে প্রথম পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ১৬৪ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরেন।