কুমিল্লার দেবিদ্বারে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সোহেল মিয়া নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। হত্যার পর নিহতের ভাই ও ভাবি লাশ বস্তাবন্দি করে ঘরের ভেতরেই পুঁতে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোহেল ওই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। ঘটনার পর থেকে নিহতের ভাই ইব্রাহিম পলাতক রয়েছে। পুলিশ তার স্ত্রী রোজিনা বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম ও সোহেল মিয়ার মারামারি হয়। ইব্রাহিম তার স্ত্রী রোজিনাকে নিয়ে সোহেলকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। কিছুক্ষণ পর সোহেল মারা যান।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইব্রাহিম ভাইয়ের লাশ বস্তাবন্দি করে তার নিজ ঘরেই পুঁতে রাখেন। বেশ কয়েক দিন ধরে তাকে খুঁজে না পেয়ে নিহতের ভাগ্নে মাইনুদ্দিন তার খবর জানতে চান। এ সময় ইব্রাহিম জানান, সোহেলকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে।
স্বজনরা কোন নিরাময় কেন্দ্রে তাকে দেয়া হয়েছে, জানতে চাইলে ইব্রাহিম তাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আত্মগোপন করেন।
পরে প্রতিবেশীরা ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে চাপ দিলে সোহেলের লাশ পুঁতে রাখার কথা জানান তিনি।
খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন জানান, নিজ ঘরে এক যুবকের লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে স্থানীয়দের দেয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে আমরা অভিযান চালাই। ইব্রাহিমের স্ত্রীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোহেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ভাই ইব্রাহিম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভিন্নবার্তা/এসআর