দ্বিতীয় ধাপে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ৫০ নির্বাচনি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার কথা জানিয়েছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এমপি ও তার লোকজনের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিন জালমাছমারি, মর্দনা, রানীহাটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। প্রার্থীদের নিজ এলাকা এবং কেন্দ্রগুলোতেও ভোটার উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায়নি।
একাধিক ভোটার জানান, ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটার জন্য এলাকার পুরুষ ভোটারের একটা বিরাট বড় অংশ এলাকার বাহিরে রয়েছেন। সেই কারণে পুরুষ ভোটার উপস্থিতি কম।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মহসীন আলী মিয়ার লোকজন নয়ালাভাঙ্গা ও ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য মোবাইলে হুমকি প্রদান করেন। সদরের এমপি গতকাল চককীর্তি এলাকায় গেছেন এবং প্রতিপক্ষের প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য বলেছেন। এখানকার এমপি শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে বলেছেন।
তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসীন আলী মিয়া সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
পুলিশ সুপার ছায়েদুল হাসান জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। জনগণ শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করেছেন। আমরা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নজরদারির মধ্যে রাখি।
জেলা প্রশাসক একেএম গালিব খান জানান, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলে। প্রভাব বিস্তারের কোনো লিখিত অথবা মৌখিক অভিযোগ আমরা পাইনি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ ছিল না।
রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহম্মেদ মাহবুব-উল-ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত ২০ শতাংশ ভোট পড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ৫০ নির্বাচনি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েকজন প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ জন প্রিসাইডিং অফিসার ১৭ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ২৫ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন প্রার্থীর প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছিল এবং অন্যরা প্রার্থীদের নিকটজন হওয়ায় তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়। যেহেতু ১০ ভাগ অতিরিক্ত তালিকা করা হয় সুতরাং এ ঘটনায় ভোটগ্রহণে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়নি বলে জানান তিনি।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন