বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) গণমাধ্যমকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন সবশেষ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চারজনের মরদেহর সন্ধান পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, চারজনের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী। দুজনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
নরসিংদী সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাহমিদ তামিম (১৫) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। জেলা হাসপাতালের আরএমও মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তার গায়ে রাবার বুলেটের চিহ্ন আছে।
এর আগে উত্তরায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ২ জন নিহত এবং ৫০০ জনেরও বেশি আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ মেডিক্যালের চিকিৎসক ডা. রুকনুজ্জামান উত্তরায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংঘর্ষে ২ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এতে আরও শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। যার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় পুলিশ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন নিহত এবং কয়েক শ’ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইমরেপিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিল্লুর রহমান। আরেকজন দুলাল মাতবর নামের এক ড্রাইভার। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন।
সাভারে পুলিশ-ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইয়ামিন (২৪) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এদিন দুপুরে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, তাকে হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।
মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত দিপ্ত দে সরকারি মাদারীপুর কলেজের শিক্ষার্থী। নিহতের ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন