কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সালামকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
সোমবার (১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু জানান, গতকাল রোববার রাতে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সালামকে বহিষ্কার এবং একই সঙ্গে ওই ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে দুইজন স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিতে জড়িত। এর মধ্যে আব্দুল মনাফ যেহেতু মহানগর কমিটির সদস্য এবং এই কমিটি কেন্দ্র ঘোষণা করেছে তাই তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠাব।
প্রসঙ্গত, সিলেট নগরীর ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির এক তরুণীকে ‘ভালো কাজ’ দেওয়ার কথা বলে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম আবদুস সালামের হাতে তুলে দেন। আবদুস সালাম তার বাসায় আটকে রেখে ২২ দিন ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি মুক্ত হলেও কয়েক দিন পর ফের আবদুস সালাম মেয়েটিকে তুলে নিয়ে আবদুল মনাফের সহযোগিতায় হবিগঞ্জে আটকে রাখে। সেখানে আব্দুস সালাম, মনাফসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে। প্রায় দুই মাস নির্যাতনের পর গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে আসে তরুণী। এ ঘটনায় ২৯ মার্চ কোতোয়ালি থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন তরুণীর মা।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন