ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে এখন নেহরীন মোস্তফা দিশি। সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃতুতে ওই আসন শূন্য হয়। এরপরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রার্থী হবার দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়।
বরাবরই আওয়ামী লীগ প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থী বাছাইয়ে চমক দেখিয়ে থাকেন। এবারও ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে দক্ষ, উচ্চ শিক্ষিত-সৎ ও মেধাবী ক্লীন ইমেজের প্রার্থী নেহরীনকে মনোনয়ন দিয়ে চমক দেখাবেন বলে ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে এই চমকের জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ওই আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।
এলাকার তৃণমূল সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়াসংগঠক শহীদ শেখ কামাল ও পুত্রবধূ ক্রীড়াবিদ সুলতানা কামালের ভাইয়ের মেয়ে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশির হাতে নৌকার প্রতীক তুলে দিয়ে চমক দেখাবেন দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগ-শ্রমিকলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে এলাকার কাজ করে যাচ্ছেন নেহরীন।
ঢাকা-৫ আসনের সকল পেশা-শ্রেণির মানুষজন ছাড়াও দলের নেতাকর্মীদের কাছে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রমাণের জন্য যারপর নাই কাজ করে চলেছেন এটিএন নিউজের সিনিয়র এই সংবাদ পাঠিকা। তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটিরও সদস্য।
ঢাকা-৫ আসনের নেতাকর্মীরাও তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন। ডেমরা-যাত্রাবাড়ি এলাকার পাড়া-মহল্লা ও অনাচে-কানাচে বৃক্ষরোপন, বর্তমান ‘সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা এবং করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে করনীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়-আলোচনা সভা-ওঠান বৈঠক ও করোনাভাইরাসের কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সসহ নানা ধরনের কাজের মধ্যদিয়ে কর্মীদের চাঙ্গা রেখেছেন। এতে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিচিতির জানান দিয়েছেন নেহরীন মোস্তফা দিশি।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে।
আমার লক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করা এবং আমাদের ঢাকা ৫ এলাকার মাটি ও মানুষের জীবন এবং জীবিকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া। এই এলাকার উন্নয়নে ঐহিত্যগতভাবে আমার দাদা মরহুম দবির উদ্দিন আহমেদ মৃধা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে গিয়েছেন । তিনি ২৫ বছর বৃহত্তর মাতুয়াইল ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন সফলতার সাথে, যা ঐতিহ্যবাহী মাতুয়াইলে ইতিহাস হয়ে আছে এবং এ অঞ্চলের আপামর জনসাধারনের অন্তরে গেঁথে আছে। আমার বড় চাচা রফিক মৃধা ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্ঠা ছিলেন এবং তার সাথে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কোষাদক্ষ ছিলেন। পুরো ঢাকা ৫ আর আপামর জনগণের জন্য তিনি ছিলেন সহায়তার খুঁটি।
নেহরীন মোস্তফা দিশি নিজের পরিবারের যোগসূত্রর কথা জানিয়ে বলেন, “আমাদের পরিবার এবং পরিবারের সদস্যরা ঐতিহ্যগত ভাবে সব সময়ই সম্পৃক্ত ছিলেন ঢাকা ৫ এর উন্নয়নে এবং এই পরিবারের সদস্য হিসাবে আমি আমার দাদা, বাবা এবং চাচাদের মতোই মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। তিনি উল্লেখ করেন যে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন। কোভিড ১৯ মহামারীতে তিনি ইতিমধ্যে স্ব-উদ্যোগে ৫০০০ এর অধিক পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্বাদী প্রদান করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন ।
তিনি ঢাকা ৫ এর পুলিশ এবং প্রশাসনের জন্য পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পি পি ই) এর বেবস্থা করেছেন। ঢাকা ৫ এর একটি বিশাল জনগোষ্ঠী পরিবহন শ্রমিক যারা এই মহামারীতে বিশাল আর্থিক কষ্টের শিকার হয়েছেন। নেহরিন মুস্তফা দিশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন শ্রমিকদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উপহার দিয়েছেন এবং সেই সাথে নিরাপত্তা সামগ্রী পি পি ই ও প্রদান করেছেন। এই মহামারী এর আগে এবং পরে থেকেই নেহরিন মুস্তফা দিশি তার পরিবারের কাজের ধারাবাহিকতায় এলাকার মানুষের জন্য সমস্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি আশা করেন এলাকার মানুষের আশীবাদে তিনি আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারবেন।