1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলবে বিলাসবহুল ট্যুরিস্ট কার

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১০:০৯ am

দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেল লাইন প্রকল্পের কাজ চলমান। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোলে ২০২২ সালেই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করছে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হলে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহনে বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ট্যুরিস্ট কোচ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
‘প্রকিউরমেন্ট অব ৫৪ ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ ফর অপারেটিং ট্যুরিস্ট ট্রেন ফর ট্যুরিস্ট অব কক্সবাজার’ প্রকল্পের আওতায় বিলাসবহুল কোচ সংগ্রহ করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৫১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে সরকারি ৯৬ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বাকি ৩৪৫ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে চীনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্পটি রাখা হয়েছে। চীনা ঋণ পেতে সহায়তার জন্য প্রকল্পটি ইংরেজি সংস্করণ করা হচ্ছে। মূলত বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তির জন্য সেক্টরাল হাইলাইটস ইংরেজি অনুবাদ করা হচ্ছে। রেলপথটি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে যেন ট্যুরিস্ট কার চালু করা যায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। কারণ ট্যুরিস্ট কার হাতে পেতে কিছুটা সময় লাগবে।

রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, “কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ হয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে আমরা সাধারণ ট্রেন দিয়ে পথটি সচল রাখবো। পরে আমরা স্পেশাল ট্রেন হিসেবে ট্যুরিস্ট কার চালু করবো। আমাদের অধিকাংশ রেলপথ যেহেতু ব্রডগেজে হয়ে যাচ্ছে, সেই হিসেবে আমরা ব্রডগেজ ট্যুরিস্ট কার কিনবো। রেলপথে বিশেষ ট্রেন হিসেবে ট্যুরিস্ট কার চালু করলে ট্যুরিস্ট খাত অনেক সমৃদ্ধ হবে। তবে আমাদের এই উদ্যোগ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ”

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রস্তাবটি রেল মন্ত্রণালয় ঘুরে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনায় ৫৪টি কোচের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৫১ লাখ ৪৮ টাকা। এ হিসাবে প্রতিটি কোচ আমদানিতে খরচ পড়বে ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সাধারণত রেলের প্রতিটি মিটার গেজ কোচ আমদানিতে গড়ে ব্যয় হয় ২ থেকে ৩ কোটি টাকা। এসি কোচ আমদানিতে খরচ এর চেয়ে কিছুটা বেশি পড়ে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্যুরিস্ট ট্রেন চালুর আগে অর্থের সংস্থান করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনাও (ডিপিপি) তৈরি করা হয়েছে। ৫৪টি কোচে ট্যুরিস্টদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকায় দাম কিছুটা বেশি হবে। প্রকল্পের অধীনে থাকছে ছয়টি মিটার গেজ ট্যুরিস্ট কোচ (সিটি), ১৩টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কার (ডব্লিউজেসি), ২২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার (ডব্লিইজেসিসি), সাতটি পাওয়ার কার (ডব্লিউপিসি) এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডাইনিং কার ও গার্ড ব্রেক (ডব্লিউজেডিআর)।

ভিন্নবার্তা ডটকম/পিকেএইচ



আরো




মাসিক আর্কাইভ