কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বয়স ৫৫ বছর। তিনি ঢাকা কাওরান বাজারের আম বিক্রি করে টেকনাফে ফিরে আসেন। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল। এর আগে ১৮ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছিল।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ৪ এপ্রিল আম ভর্তি ট্রাক নিয়ে টেকনাফ থেকে ঢাকা কাওরান বাজারে পৌঁছান। সেখানে আম বিক্রি করে ৬ এপ্রিল একটি মিনি ট্রাকে করে আরও ৪ ব্যক্তিসহ টেকনাফে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তার শরীরে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। অসুস্থতা বাড়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলায় ৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই আম বিক্রেতার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এলেও বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ওই ব্যক্তিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
তবে এখনও টেকনাফে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গাড়ি আসা বন্ধ না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
করোনা শনাক্ত ওই ব্যক্তি মুঠোফোনে বলেন, ওই ব্যক্তি ৪ এপ্রিল আম ভর্তি ট্রাক নিয়ে টেকনাফ থেকে ঢাকা কাওরান বাজারে পৌঁছায়। সেখানে আম বিক্রি শেষে ৬ এপ্রিল একটি মিনি ট্রাকে করে তারা ৫ জন টেকনাফে ফেরেন । তার মধ্যে টেকনাফের নোয়াখালী পাড়ার একজন, হাবিবছড়ার দুজন, কচ্ছপিয়া এলাকার একজন এবং মারিশবনিয়া পাড়ার একজন ছিল।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাকে ফোন করে অবিহত করা হয়েছে। তবে আমি সুস্থ আছি। টেকনাফে ফিরে আসার পর মারিশবনিয়া ও মাথাভাঙা আম বাগানে যাওয়া আসা করেছি।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রামটি লকডাউন করা হবে। অন্যদিকে রোগীর অবস্থা দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই