গত ২৪ দিনে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল ১টি টেস্ট, ৯টি ওয়ানডে এবং ১২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে একই সময়ে আলাদা দুটি দল ভিন্ন দুই ফরম্যাটে মাঠে নেমেছে।
এক ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে অন্য ম্যাচের জন্য মাঠে নামার অবস্থা ইংলিশ ক্রিকেটারদের। শরীরের ক্লান্তি এড়াতে অনুশীলনের সুযোগ নেই জস বাটলার, মঈন আলীদের সামনে। দলের এমন ব্যস্ত সূচিতে হতাশ ইংলিশদের রঙিন পোশাকের নতুন অধিনায়ক জস বাটলার।
ইংলিশ এই অধিনায়ক মনে করেন অনুশীলনে দলের ক্রিকেটারদের নিজেদের যাচাই করার সুযোগ থাকে, চাপহীন হয়ে ভাবার ফুরসত পায়, নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতাও বাড়ে। কিন্তু টানা ম্যাচ খেলায় সেই সুযোগই মিলছে না ইংলিশ ক্রিকেটারদের।
এভাবে চলতে থাকলে ম্যাচে উঁচু মানের পারফরম্যান্স দেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন বাটলার। গত এক মাসে ব্যস্ততম এক সূচি পার করছে ইংলিশ ক্রিকেটাররা। এসব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার বলেন, ‘আমি মনে করি অনুশীলনের দিনগুলো প্রতিটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দলের মধ্যে সংহতি-শক্তি, ফিল্ডিং অনুশীলন, খেলার আগে নিজেদের মধ্যে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
অনুশীলনের সময়টাতে চাপহীনভাবে নিজেদের নিয়ে ভাবা যায়। ভালো আলোচনা করা যায়। সর্বোচ্চ মানের ক্রিকেট উপহার দিতে হলে ঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়।
আপনি যখন সেই সুযোগটি মিস করেন, তখন একটা হতাশা থাকে। এই মাসটা এভাবেই শেষ হয়ে গেছে।
এভাবে উঁচু মাত্রার পারফরম্যান্স করা খুব কঠিন। এরকম পরিস্থিতি এলে আমাদের ভাবতে হবে। আপনি যদি শতভাগ দিতে না পারে, ৯০ ভাগ কি দিতে পারছেন? এটা বুঝতে হবে।’
বাটলার আক্ষেপ নিয়ে আরও যোগ করেন, ‘আশা করি, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। একজন নতুন অধিনায়ক হিসেবে, শুধু ঘুমানোর জন্য সময়টুকু পাচ্ছি এবং আবারও কাজ করতে হচ্ছে দলের খেলোয়াড় এবং কোচদের সঙ্গে।
সত্যি বলতে এটা হতাশার কারণ কাজটা ভালোভাবে করার জন্য সেই সময়টুকু পেলে ভালো হয়। কিন্তু আমরা তা পাচ্ছি না, তাই আমাদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে এবং সেরা উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।’
এই চ্যালেঞ্জ নিতে অবশ্য দুই দিন বিশ্রাম না পেতেই আবার মাঠে নামতে হবে ইংলিশদের। ২৪ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ না হতেই ২৭ জুলাই দলটির বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামবে ইংলিশরা। টি-টোয়েন্টিতে দুই দল তিন ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন