যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়াকে আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদ করছে না র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)। রিমান্ডের দ্বিতীয় দফায় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় মাঝপথেই তাকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
বিয়ষটি নিশ্চিত করে র্যাব-১’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল বলেন, ‘রিমান্ডের তৃতীয় দিন থেকেই তার জ্বর ছিল। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সেটা পরীক্ষাও করা হয়েছে। পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। আমরা এরপরই তাকে কারাগারে ফেরত পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি ভালো হলে আবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
পাপিয়াকে র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ বাতিল করার পর তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
কয়েকদিন আগে র্যাবের পক্ষ থেকে পাপিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা করা হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। গত ২০ মার্চ পাপিয়াকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আসে। পরে তাকে কাশিমপুরের কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুর রহমান।
এর আগে গত ১১ মার্চ দ্বিতীয় দফায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে (মতি সুমন) তিন মামলায় পাঁচ দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় র্যাব। তার আগে প্রথম দফায় দুইজনকে ১৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছিল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্বামী ও দুই সহযোগীসহ ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন পাপিয়া। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় স্বামী ও সহযোগীসহ পাপিয়াকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়। তা ছাড়া ঢাকার একটি হোটেলে পাপিয়ার ভাড়া করা প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট এবং ইন্দিরা রোডে পাপিয়াদের দুটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল মদ উদ্ধারের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা হয় দুটি মামলা। অস্ত্র ও মাদক আইনের এ দুই মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীকেই কেবল আসামি করা হয়। বর্তমানে তিনটি মামলাই তদন্ত করছে র্যাব। এ ছাড়া গত ২১ মার্চ পাপিয়া ও স্বামীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে গুলশান শানায় আরেকটি মামলা করে সিআইডি।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এসএস