সাভারে জমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভূইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। যুবলীগ এই নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যে ও হয়রানিমূলক মামলাটি প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে ওই যুবলীগ নেতা জামিনে মুক্তি পেলে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানায়।
স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে একমাত্র আসামী মইনুল ইসলাম ভূইয়ার পিতার নামটিও সঠিক দিতে পারেনি। মইনুল ইসলাম ভূইয়ার পিতার নাম মৃত মমতাজ উদ্দিন উল্লেখ করা হয়েছে। তার পিতার নাম মৃত আব্দুস ছালাম ভূইয়া। মামলার একমাত্র আসামীর পিতার নামই যখন সঠিক নয় তখন মামলাটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবীর হোসেন সরকার বলেন, মিথ্যে মামলা দিয়ে ত্যাগী নেতাদের ধমাতে পারবে না। যারা জাতির পিতার আদর্শের অনুসারী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক তাদের ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। মইনুল ইসলাম ভূইয়া ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত। ২০০৬ সালে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।
এরপর ২০১০ সালে সে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসাবে দীর্ঘ ৫ বছর দায়িত্বপালন করেছেন। বর্তমানে স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোট পেয়ে তিনি মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতিবাজ হলে তাকে বার বার জনগন ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতো না। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বিচার বিবেচনার মাধ্যমে আশুলিয়ার ঘুনে ধরা যুবলীগকে চাঙ্গা করতে আমাকে আর মইনুল ইসলামকে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব দিয়েছেন। মইনুল ও আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সুবিধাভোগী কুচক্রী মহল যুবলীগের সম্মেলনের পূর্বে মিথ্যে ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তাদের এই সাজানো মামলায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারকগন তাকে বিনা জামানতে জামিন দিয়েছেন। আমি স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করে বলছি, আপনারা সরেজমিনে তদন্ত করে সাজানো মামলাটির সমাপ্তি টানবেন। নইলে আশুলিয়ার যুবলীগের নেতাকর্মীগন আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।
এমআর/শিরোনাম বিডি