দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ গ্রিসে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতদের একজন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তার নাম মো. ইদ্রিস মিয়া (৩১)। তিনি উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহেব মিয়ার ছেলে।
রোববার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ইদ্রিস মিয়ার ভাই ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমার ভাই ২০১৪ সালে প্রথমে গ্রিসে যান। মাঝখানে তিনি তিনবার আসা-যাওয়া করেছেন। সবশেষ তিনি ২০২০ সালে গ্রিসে গিয়েছেন। তিনি সেখানে ব্যবসা করতেন। গত শুক্রবার ওনার বন্ধু আমাদেরকে ফোন করে মৃত্যুর সংবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন বাসা থেকে আমার ভাইয়ের কাপড় নিয়ে গিয়ে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমার ছোট ভাই জালাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আগামীকাল (সোমবার) গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে তার মরদেহ পৌঁছাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশে মরদেহ পাঠানো হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবারের সবার মধ্যে ইদ্রিস সবার বড়। তার আরও দুই ভাই এবং এক বোন রয়েছে। মেজো ভাই ইলিয়াস হাটহাজারীতে একটি মোবাইলের দোকান করেন এবং ছোট ভাই সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। সবার ছোট বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তবে ইদ্রিসের এখনো বিয়ে হয়নি। বাড়িতে তার মা রয়েছেন।
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের লারিশা শহরের কাছে গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে রাজধানী এথেন্স ও থেসালোনিকি লারিসা শহরের মাঝামাঝি একটি মালবাহী কার্গো ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় উচ্চগতিসম্পন্ন একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের। এতে যাত্রীবাহী সেই ট্রেনটির কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অনেকে হতাহত হন।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন