বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগের কোনো নীতিমালা ছিল না। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ পদে সরকারের ইচ্ছেমতো গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হতো। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পদটিতে নিয়োগের আইনের চূড়ান্ত খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (০৮ জুন) মন্ত্রিপরিষদের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশোধিত আইন ২০২০ এর অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি জানান, এই আইন অনুযায়ী গভর্নরের কার্যকালের মেয়াদ চার বছর হবে তবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর পূর্তির পরে আগে যে উক্ত পদে আসীন থাকতে পারতেন না সেটা তুলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে ৬৫ বছরের পর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তি কেউ পাঁচ বছরের পর পুনঃনিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদে সর্বোচ্চ বয়সসীমা উল্লেখ নেই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এর সর্বোচ্চ বয়স সংক্রান্ত ধারা জনস্বার্থে বিলুপ্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।