বিএনপি নেতাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পড়ে কথা বলতে বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, বিএনপি এত নাটক কেন করছে? কোন লক্ষ্য নিয়ে করছে? বিএনপি নেতারা বলে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র কোথায় গেছে? প্রতিদিন সভা-সমাবেশ, মিছিল করেন। টেলিভিশনে টকশোতে মিথ্যাচার, বিষোদ্গার করেন। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা আগে পড়ে আসেন, তারপর কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক’ কার্যকলাপের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে বৈধভাবে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই, তাই বিএনপি অশুভ চক্রান্ত করছে।
আওয়ামী লীগকে উন্নয়ন, অগ্রগতির সরকার উল্লেখ করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার ও নেতিবাচক সমালোচনা করে সরকারের উন্নয়নের বিরোধিতা করছেন। সরকারের বিরোধিতা করা মানে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের বিরোধিতা করা।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বিএনপি বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, আপনারা দেশকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছিলেন। তারেক রহমান হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের ভেতর আরেক সরকারপ্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি আর মানুষ হত্যা ছাড়া বিএনপির কোনো অর্জন নেই। ক্ষমতায় থাকতে লুটপাট আর প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের হত্যা ছাড়া তাদের কোনো অর্জন নেই।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আপনারা নির্বাচন, জনপ্রিয়তার কথা বলেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তার প্রমাণ করুন। আন্দোলন, পদযাত্রা করা লাগবে না।
উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল ছয়টি আসনে উপ-নির্বাচন সফলভাবে শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব প্রমাণ করেছে। গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে সামান্য ত্রুটি তাদের চোখে পড়েছিল, নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন আমরা এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করিনি। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা তাদের আছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির সমস্যা কোথায় এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোদিন বাস্তবায়ন হবে না। সেটা নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ২০১৩-১৪ সালে দেখেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে আন্দোলনের নামে সহিংসতা দেখেছে মানুষ। আন্দোলনের নামে আর কোনো সহিংসতা করলে জনগণ বরদাশত করবে না।
শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই