জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এ পরোয়ানা জারি করেন। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিল আসামি আবদুল মাজেদ।
এর আগে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এরপর বিচারক তার ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেন। এ সময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও মামলার রায় পড়ে শোনান।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছন।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াৎ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর বেলা ১টা ৫ মিনিটের দিকে তাকে প্রিজন ভ্যানে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত গত সোমবার রাতে মাজেদ ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় বলে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিশ্চিত করেন।
মাজেদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এর পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশে দেন।
আবদুল মাজেদ ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে এর আগে বিভিন্ন সময়ে খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।
আবদুল মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর এখন পলাতক আছেন পাঁচজন। তারা হলেন– খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই