গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর, ফুলকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে।
সর্বশেষ কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলের অন্তত শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৭ জুন) নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকাসহ বিভিন্ন এলাকা। বন্যার কারণে সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় নারায়ণপুর ইউনিয়নের উত্তর বালারহাট, আদর্শ গ্রাম ও ভয়ানেরচরসহ ৭-৮টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী জীবনযাবন করছেন। এছাড়া প্রায় ২০০ বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। নারায়ণপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালা ডোবা, উত্তর বালা ডোবা, মসালের চরসহ কয়েকটি চর পানিতে পুনরায় তলিয়ে গেছে। আর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার মানুষের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। বর্তমানে তারা নৌকা ও টংসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে বসবাস করছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ সেন্টিমিটার। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।