নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাদক নির্মূলের বাতিঘরের রূপকার থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আউয়াল জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তিনি একজন নির্লোভ, বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে বহুমাত্রিক কৃতিত্বের অধিকারী একজন সাদা মনের আলোকিত মানুষ। যিনি সারা জীবন অসহায় মানুষ, সমাজ-রাষ্ট্রের জন্য নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন।

সমাজ তথা রাষ্ট্রকে আলোকিত করার এক মহাকর্মযজ্ঞে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন সারাটি জীবন। সততা, উদারতা, ন্যায় পরায়ণতা, কর্মনিষ্ঠতা, নিরহংকারী, নির্ভীক, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ এবং অসহায় মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা কুড়িয়ে সবকিছু মিলিয়ে তিনি একজন সফল ওসি। তার প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা আইন-শৃংখলার সার্বিক প্রেক্ষাপট।

ইতোমধ্য সুফল পেতে শুরু করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তিনি কিশোরগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে নিজ যোগ্যতা আর কর্মদক্ষতায় কিশোরগঞ্জে সচেতন মহল ও সাধারণ জনগণের মন জয় করেছেন। সেই সাথে একজন সফল ওসি হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।

ওই হাস্যজ্জল সুদর্শন মানুষটি অফুরন্ত গুণাবলীর মাঝে পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি যেন অনড়। তিনি পারিবারিক থেকে শুরু করে ছোটখাটো অভিযোগ থানায় বসে নিষ্পত্তি করে দিচ্ছেন। তিনি কুমিল্লা জেলা থেকে কিশোরগঞ্জ থানায় গত ০৮/০৮/ ২০ খ্রিস্টাব্দে যোগদানের পর থেকে থানা এলাকা থেকে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে।
পুলিশি সেবা গ্রহীতাদের এখন আর দূর্ভোগ পোহাতে হয় না। তিনি যোগদানের পর থানার শৃংখলা ফিরিয়ে এনেছেন। থানায় মামলা, জিডি করতে লাগে না কোন টাকা-পয়সা। তিনি মাদক, জুয়া,চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ,নারী নিযাতন, ইভটিজিং, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের একজন সম্মুখও সারির যোদ্ধা হিসেবে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আর ওসিকে সার্বিক-সর্বাত্তক সহায়তা করে যাচ্ছেন ওসি (তদন্ত) মফিজুল ইসলামসহ সকল অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা।

ধনী-গরীব সবার জন্য ওসির দরজা সব সময় উন্মোক্ত করেছেন। পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চালু করেছেন বিট পুলিশিং কার্যক্রম। কিশোরগঞ্জ থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ কালে ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, মানুষের সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। ওসি হিসেবে আমি যতদিন কর্মরত আছি, ততদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করবো। যাতে করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে ও স্বস্তিতে থাকতে পারে। আমি মানবতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে সকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।

বর্তমান বাংলাদেশের সার্বিক মাদকের অবৈধ ব্যবহারে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমরা পুলিশ বাহিনী সমাজকে মাদকমুক্ত করতে প্রতিনিয়ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। শুধু তাই নয় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।

মাদক সেবন, কেনাবেচা, চোরাচালানসহ সকল ধরনের সংশ্লিষ্টতায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদাজাগ্রত। আর কোন পুলিশবাহিনী সদস্য মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাকে আইনের আওতায় এনে চাকরীচ্যুত করা হবে। সুতরাং মাদক নির্মূলে আমরা সোচ্চার।

সেইসাথে অন্যান্য অপরাধ দমনেও কাজ করে যাচ্ছি। কিশোরগঞ্জ থানা থেকে যে কোন মূল্যে মাদক সহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করে কিশোরগঞ্জ থানাকে মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো জানান, পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন থানায় চাকরির পাশাপাশি দেশের বাহিরে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষতার সহিত জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছি।

ভিন্নবার্তা/এসআর