নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২০-২১ মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের মাঝে ভাসমান বীজতলায় উৎপাদিত নাবি জাতের আমন ধানের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে রণচন্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাফলা জুম্মাপাড়া গ্রামে এ চারা বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তুষার কান্তি রায় এর সঞ্চালনায়, সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম, নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মাজেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) হোমায়রা মন্ডল, উপসহকারী কৃষি অফিসার মোজাফফর হোসেন, দেব দুলাল মহন্ত (সমা)। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তুষার কান্তি বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে অতিবৃষ্টিতে সমগ্র উপজেলার কিছু জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
ফলে কৃষকরা আমন ধান চাষ করার জন্য বীজতলার প্রয়োজনীয় উঁচু জমি পান না। এ সময় চারা উৎপাদনের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে কলার ভেলায়( ভুড়ায়) ভাসমান বীজতলা তৈরি করে আমনের চারা উৎপাদন করতে পারলে, কিছুদিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে কৃষকেরা আমন চাষাবাদ করতে পারবেন।এটি মাথায় রেখে আমনের বীজতলার জন্য শুকনো জমির বিকল্প হিসেবে ভাসমান পদ্ধতিতে আমনের চারা উৎপাদন জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ইতিমধ্যে উপজেলার আমন চাষীগণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে কলার ভেলায় (ভুড়ায়) ভাসমান পদ্ধতিতে আমনের চারা উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অন্যান্য বক্তাগণ আমন ধান চাষাবাদ ও বীজতলা রক্ষার জন্য কৃষকের মাঝে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
ভিন্নবার্তা/এসআর