কিশোরগঞ্জে বাজিতপুর ও করিমগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শ্বাসকষ্ট, কাশি ও জ্বর নিয়ে মারা যাওয়া একজন হলেন আমরু মিয়া (৫০)। তিনি বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের তাতালচর গ্রামের সবুর মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।
অপরজন করিমগঞ্জ উপজেলার মুসলিমপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে সেলিম মিয়া (৫০)। তিনি ঢাকায় মুদি দোকানি ছিলেন। সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে কিছুদিন আগে বাড়িতে এসেছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আমরু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। সোমবার তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। তাকে আইসোলেশনে নেওয়ার পর পরই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
অন্যদিকে, করিমগঞ্জ উপজেলার করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত সেলিম মিয়া সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসেন। কিন্তু অসুস্থতার কথা পরিবারের লোকজন গোপন করে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করান। পরে অবস্থা অবনতি হয়ে রবিবার রাতের শেষ ভাগে মারা যায়। পরিবারের লোকজন পরদিন সকালে তা প্রকাশ করেন।
খবর পেয়েও এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুর পর এলাকাবাসী কেউ দেখতেও আসেনি। এলাকাবাসীর ধারণা, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। মৃত দুই পরিবারের লোকজনকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে জানান উপজেলা প্রশাসন।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, মৃত দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এসএস